আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের পর জাপান, কানাডা ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশ কিছু দেশে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ায় দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্বব্যাপী করোনার মহামারি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
যুক্তরাজ্যে মহামারি রোধে আরও কঠোরের পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নতুন স্ট্রেইনের কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ব্যস্ত লন্ডন ভুতুরে শহরে পরিণত হয়েছে। চীনে প্রথম করোনা শনাক্তের পর তা রোধে উহান শহরের একই অবস্থা দেখা গিয়েছিলো। গেল ১৪ ও ২৩ ডিসেম্বর করোনার নতুন দুটি ধরন শনাক্তের পর বিধি নিষেধ আরও কঠোরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেন। ইংল্যান্ডের সবগুলো অঞ্চলকে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারির নির্দেশ দিয়েছে দেশটির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কমিটি।
যুক্তরাজ্য হয়ে করোনার নতুন ধরন অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, ইতালি, আইসল্যান্ডের পর এবার কানাডা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াতেও শনাক্ত হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকাতে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার সঙ্গে নতুন ধরন যুক্ত হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। যেকোনো মুহূর্তে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় রাতে কারফিউয়ের সময়সীমা বাড়িয়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
চলমান করোনা মহামারিকে সতর্কবার্তা উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, সামনের বছর মহামারি আরো প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। মোকাবিলায় এখনই দেশগুলোকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
সান নিউজ/বিএস