আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনের বাড়ির জমি বির্তককে কেন্দ্র করে পথে নামছেন বিশিষ্টজনরা। রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ৩টায় পশ্চিমবঙ্গ বাংলা একাডেমির সামনে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানাবেন তারা। পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং জৈবপ্রযুক্তি মন্ত্রী এবং নাট্যকার ব্রাত্য বসুর আহ্বানে এই সভা হয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কবি জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার, চিত্রশিল্পি শুভাপ্রসন্ন, যোগেন চৌধুরী, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, চলচিত্র পরিচালক অরিন্দম শীল প্রমুখ। তবে ব্রাত্য ছাড়া রাজ্য সরকারের আর কোনও প্রতিনিধি এই সভায় যোগ দেননি।
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের নামও। তবে অমর্ত্য সেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আমাকে কিছু না জানিয়ে আমার নাম দখলদারদের তালিকায় তুলেছে। বাঙালি এ অর্থনীতিবিদ প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে অমর্ত্য সেন বলেন, বিশ্বভারতীর জায়গায় আমাদের জমি আছে, ঠিক কথা। সেটা দীর্ঘ সময়ের জন্য আমাদের কাছে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। বন্দোবস্তর মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে বন্দোবস্ত না নিলে তখন সেটাকে অবৈধ দখলদারিত্ব বলা যায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালযের বর্তমান উপাচার্য অবৈধভাবে আমাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর এরকম তৎপরতার পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন থাকতে পারে বলেও দাবি করেছেন। তার মতে, তিনি সবসময় সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে কথা বলেন। হয়তো বিশেষ মহলের ক্ষোভ থেকেই তাকে সরাতে চেষ্টা শুরু হয়েছে।
এর আগে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, তাদের কিছু জমি অবৈধভাবে কেউ কেউ নিজেদের নামে করে নিয়েছেন। তারা এ বিষয়ে একটি তালিকা প্রস্তুত করে। তালিকায় অন্য অনেকের সঙ্গে রয়েছে নোবেলবিজয়ী এই অর্থনীতিবিদের নামও।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সরকারি রেকর্ডে মালিকানার ভুল রেকর্ডিংয়ের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিকে ব্যক্তিগত নামে করে নেওয়া হয়েছে এবং সেখানে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলছে।
সান নিউজ/পিডিকে/এস