আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘মিয়ানমারের লোকজনকে যেখানেই দেখতে পাবেন, সেখানেই তাদের গুলি করে হত্যা করুন’- ইউটিউবে দেওয়া থাইল্যান্ডের এক বাসিন্দার ঘোষণা এটি। মিয়ানমার থেকে আসা শ্রমিকদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় থাইল্যান্ডবাসীদের মধ্যে যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এটি তারই বহিঃপ্রকাশ বলে বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) জানিয়েছে রয়টার্স।
করোনার প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি থাইল্যান্ডে প্রথম শনাক্ত হয় ব্যাংককের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজারে। ওই বাজারের অধিকাংশ শ্রমিকই মিয়ানমার থেকে যাওয়া অভিবাসী। বিষয়টি প্রকাশের পর অভিবাসী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে।
অভিবাসীদের সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান লেবার প্রটেকশন নেটওয়ার্কের কর্মী সমপং স্রাকাইউ জানান, ক্ষোভ এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, মিয়ানমার থেকে আসা লোকজনকে গণপরিবহন ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না, তাদেরকে অফিসে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
প্রচারিত বিদ্বেষমূলক বক্তব্যগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে, অভিবাসী শ্রমিকদের যেন চিকিৎসাহীন রাখা হয়। এছাড়া তাদের যারা এনেছে তাদেরকেও যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।খোদ প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান ওচাঁ চলতি সপ্তাহে বলেছেন, অবৈধ অভিবাসীরা থাইল্যান্ডে করোনার সংক্রমণের জন্য দায়ী। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
স্যোশাল মিডিয়া মনিটরিং ফর পিস গ্রুপ নামের একটি সংস্থা জানিয়েছে, ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটারে এ ধরনের বিদ্বেষমূলক হাজার হাজার মন্তব্য তারা খুঁজে পেয়েছে। গ্রুপের সদস্য সাইজাই লিয়াংজুনসাকুল বলেন, ‘এসব মন্তব্যের মধ্যে যে বিদ্বেষমূলক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা বৈষম্য ও জাতীয়তাবাদ উস্কে দিচ্ছে। আমরা উদ্বিগ্ন যে, অনলাইনে এই অসহিষ্ণুতা আরও বৈষম্যের দিকে নিয়ে যাবে এবং এটি বাস্তবিক সহিংসতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।’
সান নিউজ/পিডিকে/এস