আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৌশলগত টহল বজায় রাখার লক্ষ্যে চীন-রাশিয়া দুই দেশ আবারও যৌথ মহড়া চালিয়েছে। কৌশলগত অংশীদার হিসেবে এটি তাদের দ্বিতীয় যৌথ মহড়া ।
যৌথ মহড়ায় চীনের ৪টি এইচ-সিক্স কে বোমারু বিমান এবং রাশিয়ার ২টি টিইউ-৯৫ বোমারু বিমান অংশ নেয়। জাপান ও পূর্ব চীন সাগরে দুই দেশ এই যৌথ মহড়ায় অংশ নেয়। তবে টহলের সময় কোনও দেশের আকাশ সীমা লঙন করা বা প্রবেশ করা হয়নি বলে জানিয়েছে গ্লোবাল টাইমস।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে এর আগেও চীন ও রাশিয়া এই অঞ্চলেই প্রথম যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়ে ছিল। দক্ষিণ চীন সাগর তৎসংলগ্ন অঞ্চল এবং ভারত সীমান্তের কাছাকাছি চীনের সেনা উপস্থিতি বাড়ানো অনেক বিশ্লেষককে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে যে ধীরে ধীরে চীন যুদ্ধের মতো কোনও সামরিক পদক্ষেপের দিকে এগোচ্ছে।
চীনের এসব পদক্ষেপের কথা মাথায় রেখেই অস্ট্রেলিয়া তাদের সামরিক বাহিনীকে আধুনিক করে তুলছে। তারা ফ্রান্স থেকে আধুনিক সাবমেরিন, যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের প্রথম চালান ইতিমধ্যে পেয়েও গেছে। এছাড়াও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে নৌবাহিনীকেও শক্তিশালী করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান অংশীদার অস্ট্রেলিয়া। তাই অস্ট্রেলিয়ার নতুন কৌশলগত চিন্তাভাবনা দুই দেশের সহযোগিতার কেন্দ্রবিন্দুতেই রয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান, অস্ট্রেলিয়ায় মার্কিন সেনাঘাঁটি, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা এখনও দেশ দুটির প্রধান যৌথ বিষয় হিসেবে বিবেচিত। আর যখন চীনের আঞ্চলিক প্রভাব প্রতিহত করার মতো কৌশলগত লক্ষ্য আসে, তখন তা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সান নিউজ/এসএ