আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : ইসরাইলের সঙ্গে গত ১০ ডিসেম্বর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দিয়েছে মরক্কো। আমেরিকার মধ্যস্থতায় এ দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হতে যাচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাইরাইন ও সুদানের পর এ সিদ্ধান্ত এলো মরক্কোর পক্ষ থেকে।
বিনিময়ে বিতর্কিত পশ্চিম সাহারা অঞ্চল নিয়ে মরক্কোর দাবিকে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর আনাদোলুর। এ নিয়ে গত চার মাসে চারটি আরব দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করল। তারও অনেক আগে মিসর ও জর্ডান ইহুদি রাষ্ট্রটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে ট্রাম্পের উপস্থিতিতে হোয়াইট হাউসে ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তি করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। পরে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সুদান। কিন্তু দেশ মরক্কোর সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক নতুন নয়, বিগত ৬ দশক ধরেই তাদের মধ্যে গোপন যোগাযোগ রয়েছে বলে বিশ্লেষকরা দাবি করছে।
তবে, ১৯৯৩ সালে ফিলিস্তিন-ইসরাইলের মধ্যে অসলো চুক্তি সইয়ের পর ১৯৯৪ সালে প্রকাশ্যে তেলআবিবের সঙ্গে স্বল্পপরিসরে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে মরক্কো। পরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি নিপীড়ন, নির্মমতা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ২০০০ সালে সেই সম্পর্ক ছিন্ন করে দেশটি।
এর পর ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর আবারও প্রকাশ্যে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয় মরক্কো। ১৯৬০-এর দশকে মরক্কোর বাদশাহ হাসানের সময় থেকেই রাবাতের সঙ্গে তেলআবিবের গোপনে যোগাযোগ চলছে।
সান নিউজ/পিডিকে