আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : নেপালের পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব করেছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মন্ত্রী পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে নির্বাচিত সরকার ভেঙে দেয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেন তিনি। বৈঠকে তিনি জানান, ‘তার সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। অতএব সরকার ভেঙে দেওয়া হোক।’
এ বিষয়ে নেপালের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী বারসামান পান জানিয়েছেন, ‘মন্ত্রিসভা বৈঠকে সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারীর কাছে সেটি পাঠনো হয়েছে।’
তবে, রাষ্ট্রপতি সরকার ভেঙে দেয়ায় মত দেবেন কিনা এ নিয়ে নেপালসহ ভারতীয় গণমাধ্যমে চলছে গুঞ্জন। দেশটির সাধারণ মানুষও এখনো স্পষ্ট নন কি ঘটছে সরকারের ভেতর। নেপালের পরবর্তী নির্বাচন ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
হঠাৎ নির্বাচিত সরকার ভেঙে দিতে কেন তোড়জোড় শুরু করলেন, প্রধানমন্ত্রী ওলি তার স্পষ্ট ব্যাখা না দেননি। ধারণা করা হচ্ছে, সম্প্রতি জারি করা এক আইন নিয়ে চাপে ছিলেন তিনি।নেপালের প্রভাবশালী দৈনিক কাঠমাণ্ডু পোস্ট বলছে, ‘বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল। ব্যাপক চাপে থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।’
এভাবে সরকার ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব সংবিধানের পরিপন্থী উল্লেখ করে দ্রুত প্রত্যাহার করা উচিত মনে করছেন নেপালের জ্যেষ্ঠ কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাধব কুমার।করোনাভাইরাসে হিমশিম নেপাল। এতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দেশটির অর্থনীতির চাকায়। গুমোটভাব কাটছিল না কাঠমাণ্ডুতে। সরকার বিরোধীদের অভিযোগ, পরিস্থিতি সামলাতে চরমভাবে ব্যর্থ ক্ষমতাধর প্রধানমন্ত্রী ওলি। শেষমেশ সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব তুললেন তিনি।
সান নিউজ/পিডিকে/এস