আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বড়দিন উৎসব ঘিরে করোনা সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে রোববার (২০ ডিসেম্বর) থেকে দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউনের ঘোষণা দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যেসব এলাকা লকডাউনের আওতায় থাকবে, সেসব এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া বাকি সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
এলাকাগুলোতে ভ্রমণ সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে দেশটিতে করোনাভাইরাসের যে নতুন উপসর্গ শনাক্ত হয়েছে, তা আরও দ্রুত গতিতে ছড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা। যুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বড়দিনের পরপরই অনুমোদন পেতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
সর্বোচ্চ পর্যায়ের লকডাউনের ঘোষণা আসার পরপরই বিপণিবিতানে ভিড় করতে দেখা যায় লন্ডনের বাসিন্দাদের। ঠান্ডা আবহাওয়া উপেক্ষা করেই শেষ মুহূর্তে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসসহ বড়দিন উপলক্ষে কেনাকাটা সারতে দেখা যায় বহু মানুষকে।
এর আগে স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে লন্ডনসহ কয়েকটি শহরে সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিধিনিষেধের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বড়দিনের উৎসব ঘিরে করোনা সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে রোববার থেকে দুই সপ্তাহের জন্য এ লকডাউনের ঘোষণা দেন বরিস। ৩০ ডিসেম্বর লকডাউনের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বরিস জনসন বলেন, ‘আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহভাবে বাড়ছে, আর তাই কঠোর বিধিনিষেধের কথা ভাবতে হলো। এবারের বড়দিন অন্যবারের মতো উদযাপন করতে পারব না আমরা। যেসব এলাকা লকডাউনের আওতায় থাকবে, সেসব এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া বাকি সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হবেন না। এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় ভ্রমণ সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।’
তবে কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর পেল ব্রিটেনবাসী। যুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বড়দিনের পর ২৮ বা ২৯ তারিখের দিকে অনুমোদন পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরএ। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত তথ্য সংস্থাটির কাছে আসতে পারে (২১ ডিসেম্বর) সোমবার। অক্সফোর্ডের টিকার ১০ কোটি ডোজ অর্ডার দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। দেশটিতে ইতোমধ্যে এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফাইজারের টিকা নিয়েছেন।
সান নিউজ/এসএম