আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ কোটি ৬৫ লাখ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে, মৃতের সংখ্যা ১৬ লাখ ৯১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭ কোটি ৬৫ লাখ ৮৮ হাজার ৪৫৭ জন। একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩ জন।
বিশ্বে করোনায় যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ ৬১ হাজার ৩১৪ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৪২ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩১ হাজার ৬৫৯ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫১৩ জন।
ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭২ লাখ ১৩ হাজার ১৫৫ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৫ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। ফ্রান্স পঞ্চম। যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ। ইতালি সপ্তম। স্পেন অষ্টম। আর্জেন্টিনা নবম। কলম্বিয়া দশম।
বিশ্বজুড়ে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্বে করোনায় সুস্থ মানুষের সংখ্যা ৫ কোটি ৩৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় সুস্থ হয়েছেন ৫ কোটি ৩৭ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৯ জন।
করোনায় সুস্থতার দিক থেকে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে । দেশটিতে ১ কোটি ৫ লাখ ২৭ হাজার ১৩৮ জন সুস্থ হয়েছেন। এরপর রয়েছে ভারত । দেশটিতে ৯৫ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮১ জন সুস্থ হয়েছেন। ব্রাজিলে ৬২ লাখ ২২ হাজার ৭৬৪ জন সুস্থ হয়েছেন। এরপর রয়েছে রাশিয়া, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, পেরু, ইতালি, মেক্সিকো, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা। সুস্থতার দিক থেকে বাংলাদেশ রয়েছে ২১ নম্বরে।
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার পর্যন্ত) নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২৬৭ জন। দেশে এখন পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬০ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনায় মারা গেছেন ২৫ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু ৭ হাজার ২৪২ জন।
সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৮৭ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৬০১ জন।
শীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর আশঙ্কা আছে। গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর পর্যন্ত সংক্রমণ কমছিল। কিন্তু এরপর থেকে সংক্রমণ বাড়ছে। টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রয়েছে।
সান নিউজ/বিএস