আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : সাইবার হামলার স্বীকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন শক্তি মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের অধীনেই নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে দেশটির পরমাণু অস্ত্র। তবে হামলার পরেও পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তা অটুট রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সরকার। এরপরেও এটিকে বলা হচ্ছে মার্কিন সরকারের ওপর ইতিহাসের সবথেকে বড় সাইবার হামলা। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৭ডিসেম্বর) টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটও জানিয়েছে, তারা তাদের সিস্টেমে ম্যালওয়ার খুঁজে পেয়েছে। এর আগেও দফায় দফায় সাইবার হামলার শিকার হয়েছে মার্কিন শক্তি মন্ত্রণালয়। বেশ কিছু দিন ধরেই সাইবার হামলা হচ্ছে মার্কিন বিভিন্ন সরকারি সংস্থার উপর। ধারণা করা হচ্ছে, এই হ্যাকের সঙ্গে রাশিয়ার সরকার সরাসরি জড়িত রয়েছে। যদিও প্রথম থেকেই এই দাবি অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া।
সর্বশেষ সাইবার আক্রমণ সম্পর্কে একটি আপডেট দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাইলিন হাইনেস। এতে তিনি বলেন, আমরা অনুসন্ধান চালিয়ে নিশ্চিত হয়েছি যে, হামলা শুধুমাত্র ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কেই পড়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা কার্যক্রমে কোনো আঘাত আসেনি। শক্তি মন্ত্রণালয়ের আগেই দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ট্রেজারি মন্ত্রণালয়সহ একাধিক মার্কিন এজেন্সি আক্রান্ত হয়েছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন শক্তি মন্ত্রণালয়ের অধিনে কাজ করে।
তারাই মূলত যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ করে। অস্ত্রের অবস্থান, নিরাপত্তাসহ সব ধরণের এক্সেসও এখান থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়। তবে এতে হ্যাকারদের হাত পরেনি বলে নিশ্চিত করেছে মন্ত্রণালয়টি। পারমাণবিক শক্তি বিষয়ক সাবকমিটির চেয়ারপার্সন রিপাবলিকান সিনেটর ডেব ফিশার বলেছেন, মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু হ্যাকাররা এনএনএসএ’র নেটওয়ার্কের অনুপ্রবেশ করেছে এটিও চিন্তার বিষয়। এই হ্যাকিং আমাদেরকে বুঝিয়েছে, ক্রমবর্ধমান হুমকি থেকে পারমাণবিক অস্ত্র আগের মতোই নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং কার্যকর রাখতে আমাদের আরো উন্নত হতে হবে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, পরমাণু অস্ত্র নিরাপদ থাকলেও হ্যাকের শিকারদের তালিকা বড় হচ্ছেই। বাদ যাচ্ছেনা সরকারের সংস্থা, মন্ত্রণালয়, বেসরকারি কোম্পানি ও সংস্থাগুলোও। এ বছরের মার্চ মাস থেকে লাগাতার সাইবার হামলা চলছে। হ্যাকের মাত্রা নিশ্চিতভাবেই ব্যাপক। তবে এখনো সার্বিকভাবে কত ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারিত হয়নি। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত তাদের ধারণা এটি আর দশটি গুপ্তচরবৃত্তিরই একটি অংশ। এখনো হ্যাকাররা বাস্তবিক অর্থে বড় ধরণের যুদ্ধাবস্থা কিংবা সংকট সৃষ্টি করেনি।
সান নিউজ/পিডিকে/এস