আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের শিনজিয়াংয়ে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষকে জোর করে তুলা সংগ্রহের কাছে নিয়োজিত রাখা হয়েছে। নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।মঙ্গলবার সেন্টার ফর গ্লোবাল পলিসি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বের ২০ শতাংশেরও বেশি এবং চীনের ৮৪ শতাংশ তুলা আসে শিনজিয়াং থেকে।
উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিমদের বলপ্রয়োগ করে শ্রমে নিয়োগসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। শিনজিয়াং ও তিব্বত বিষয়ক স্বাধীন গবেষক আদ্রিয়ান জেনজ লিখিত প্রতিবেদনটি সরকারি নথি ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে করা হয়েছে। এসব নথি ও প্রতিবেদনে তুলা সংগ্রহ করতে লাখ লাখ কর্মীকে ‘শ্রম স্থানান্তর প্রকল্পের’ আওতায় কর্তৃপক্ষ বলপ্রয়োগ করছে বলে প্রমাণ রয়েছে।
চীনে সরকারের দারিদ্র নির্মূল কর্মসূচির অংশ হিসেবে শ্রম স্থানান্তর প্রকল্প রয়েছে। তবে প্রাপ্ত নথিতে দেখা গেছে, সরকারের এই প্রকল্পের টার্গেট হচ্ছে উইঘুর ও শিনজিয়াংয়ের সংখ্যালঘু মুসলিমরা এবং তাদেরকে এ কাজে বাধ্য করা হচ্ছে।
শিনজিয়াংয়ের দক্ষিণের এক্সপিসিসি অঞ্চলে যান্ত্রিক চাষাবাদ ৮৩ শতাংশ বেড়েছে। এখানে বিপুল পরিমাণ তুলা উৎপাদিত হবে এবং এগুলো হাতে সংগ্রহ করতে হয়। তুলা সংগ্রহে অন্য অঞ্চল থেকে শ্রমিক নিয়ে আসার সংখ্যা সম্প্রতি নাটকীয়ভাবে কমেছে। বিপরীতভাবে সংখ্যালঘু শ্রমিকদের নিয়োগ অনেক গুণ বেড়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় পাঁচ লাখ ৭০ হাজার মানুষকে আকসু, হোতান ও কাশগর থেকে এক্সপিসিসি অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। এই শ্রম প্রকল্প শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অঞ্চলকেন্দ্রীক এবং সম্ভবত লাখ লাখ কারাবন্দিকে এই শ্রমে নিয়োজিত করা হচ্ছে।
বলপূর্বক শ্রমে নিয়োগের এই প্রকল্প গোপনীয় কিছু নেই। সংবাদমাধ্যমগুলো এই প্রকল্পকে দারিদ্র দূর করতে সরকারের উজ্জল দৃষ্টান্ত বলে প্রশংসা করা হয়। এইসব প্রতিবেদনে বলপূর্বক শ্রমে নিয়োগের কিছু সূত্রও দেওয়া থাকে। এই সব শ্রমিকদের প্রায় তাদের বাড়ি থেকে বহু দূরে পাঠানো হয়, কারখানা এলাকার আশেপাশে থাকতে বাধ্য করা হয় এবং আদর্শিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
সান নিউজ/পিডিকে/এস