আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে বিজেপি দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করার পর থেতে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিপক্ষের সংসদ সদস্য এবং প্রভাবশালী নেতাকর্মীদের দলে ভিড়ানোর নতুন মাত্রা পেয়েছে। সংসদ কেনাবেচার ঘটনায় কিছু কিছু রাজ্যে রীতিমতো সরকার পর্যন্ত পরিবর্তন হয়ে গেছে।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) কালীঘাটের নিজ বাড়িতে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মমতা। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই দলের হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়বেন, তা আগেই ধরেই নিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু, একই দিনে শুভেন্দু ছাড়াও আরও দুই নেতা দল ছেড়ে যাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
জানা যায়, এবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অন্যান্য রাজ্যের মত একই কৌশলে এগোচ্ছে বিজেপি। আর তাতেই মমতা ব্যানার্জির ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার রীতিমত উৎসব শুরু হয়ে গেছে। সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, দলের ভাঙন ঠেকানোর রাস্তা খুঁজতেই কালীঘাটের বাড়িতে শুক্রবার বিকেলে জরুরি এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছেন, তার সঙ্গে আরও ১০ বিধায়ক তৃণমূল ছাড়বেন। তাই বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই তৃণমূলের। বৃহস্পতিবার শুভেন্দু ছাড়াও দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন আসানসোলের বিদায়ী মেয়র পৌর প্রশাসক তথা পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
এখানেই বিদ্রোহের ইতি নয়। বর্ধমান পূর্বের সংসদ সদস্য সুনীল কুমার মণ্ডলও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। আরও কয়েকজন বিধায়কের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। শুধু বিধায়ক ও সংসদ সদস্যরাই নন, শাসক দলের উদ্বেগ বাড়িয়ে স্থানীয় অনেক নেতার কণ্ঠেও ক্ষোভের সুর শোনা যাচ্ছে। চলছে দলে তাদের অবমুল্যায়ন, উপেক্ষা ও বঞ্চনার অভিযোগ। এই অবস্থায় শুক্রবার বিকলের এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তৃণমূল নেত্রী মুখে যদিও বলছেন, তিনি বিদ্রোহীদের গুরুত্ব দিতে নারাজ। যারা বেরিয়ে যাওয়ার বেরিয়ে যাক। তৃণমূলের শীর্ষ নেতারাও দলীয় প্রধানের সুরে সুর মিলিয়ে একই কথা বলছেন। কিন্তু, বিধানসভা নির্বাচনের আগে একে একে দলছাড়ার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অশুভ সংকেত দেখছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে মোকাবিলা করার চেয়েও তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ এখন ভাঙন ঠেকানো।এদিকে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের মসনদ দখলের আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে এখানে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে সেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে হিন্দুত্ববাদী দলটি।
সান নিউজ/এসএ/এস