আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ামার শহরের বাসিন্দা পেশাদার মালি কোলানি সিয়েভা। তিনি আবর্জনার স্তূপকে শাকসবজি উৎপাদনের এক বিশাল ক্ষেতে পরিণত করেছেন। তার সমগ্র পাড়ায় সেই তাজা সবজির চাহিদা রয়েছে।
সবজি বিক্রি করে, তার লাভ দিয়ে আর্থিক ভাবে সচ্ছল হয়েছেন। লাভের কল্যাণে সিয়েভা পাড়ার পাঁচ তরুণকে মালি হিসেবে নিয়োগ করতে পেরেছেন। কোলানি সিয়েভাকে অনুকরণ করে সমগ্র দক্ষিণ আফ্রিকার অনেকেই এখন উদ্যোগ নিয়েছেন এবং তারা কেউ কেউ ময়লার ভাগাড়কে সবজি বা ফুলের বাগানে রূপান্তর করেছেন কেউ বা ময়লাকে রিসাইকেল করে বানাচ্ছেন অন্য কোনও ব্যবহায্য বস্তু।
সিয়েভা প্রায় দেড়শ পরিবারের জন্য তার ক্ষেত থেকে শাকসবজি উৎপাদন করেন। করোনা কালীন সময়ে কাজ হারিয়েছেন এমন পরিবারগুলোই সিয়েভার সবজির ক্রেতা। এ সবজি বিক্রির টাকা তাকে পরিশোধ করছেন একটি মাসিফুন্ডে নামের সামাজিক সংগ্রঠন। জার্মানি ও দক্ষিণ আফ্রিকার এই যৌথ উদ্যোগের আওতায় ওয়ামার শহরে তরুণ প্রজন্মকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ খুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
সবজি উৎপাদন ছাড়াও ওয়ামার শহরে রিসাইক্লিংয়ের কাজ করছে রি-ট্রেড নামের এক সংগঠন। সংগঠনটি শহরের বাসিন্দাদের আবর্জনা রিসাইক্লিং করার বিষয়ে বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়। মারিয়া ডি এঞ্জেলো গ্রেভার এই উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত। তিনি বলেন, মানুষ মনে করে ফেলে দিলেই জিনিসপত্র উধাও হয়ে যায়। কিন্তু সেসব যেখানে জমা হয়, সেই জঞ্জালের স্তূপের আশপাশে অনেক মানুষ বসবাস করে।
এমন পরিবেশ কোনও মানুষের বসবাসের যোগ্য নয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা সত্যি সেই পরিস্থিতি বদলানোর চেষ্টা করছি। কারণ আমাদের নথিবিহীন আবাসন এমন সব এলাকার কাছে অবস্থিত, সেখানে মানুষকে থাকতে হলে আমরা সেই সব এলাকাকে সেরা করে তুলতে চাই।
তিনি জানান, বাণিজ্যিক রিসাইক্লিং কোম্পানির তুলনা রি-ট্রেড প্রকল্পে কুড়ানিরা অনেক ভালো বিনিময়মূল্য পান। ব্যক্তিগত চাঁদা ও দামি উপাদান বিক্রি করে পাওয়া অর্থের কল্যাণে এই সংগঠনের দোকান চালানো হয়। রি-ট্রেড প্রকল্পের কল্যাণে জঞ্জাল কুড়ানোর কাজ স্বীকৃতি পেয়েছে, যার ফলে সামান্য হলেও গুরুত্বপূর্ণ আয়ের উৎস খুলে গেছে।
সান নিউজ/এসএ