আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভেনিজুয়েলার ক্যারিবিয়ান সমুদ্র সৈকতে সমুদ্রের পানির সাথে ভেসে আসছে সোনা-রূপার গহনা! এমনাটাই ধারণা সৈকতের পাড়ে অবস্থিত গুয়াকা গ্রামের অধিবাসীদের।
বেশ কিছু গ্রামবাসী দাবি করেছেন, তারা বেশ কিছু মূল্যবান জিনিস পেয়েছেন যার মধ্যে সোনার আংটিও রয়েছে। কিছু লোক তাদের সোনার গয়না ১ লাখের বেশি টাকায় বিক্রিও করেছেন। অনেকের কাছে এই টাকাটা ছিল অপ্রত্যাশিত। জেলেরা বলছেন, ‘ঈশ্বরই আমাদের প্রতি তার অনুগ্রহ বর্ষণ করছেন।’
যদিও এখন পর্যন্ত কেউ বুঝতে পারেননি কোত্থেকে এই সোনা আসছে। তবে করোনা সংক্রমণের মধ্যে যখন অনেক দেশের মতো ভেনেজুয়েলাও আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে, তখন এভাবে সোনা-রুপা হাতে পেয়ে যেন আনন্দে আত্মহারা গ্রামবাসীরা।
প্রতিদিনের মতো সকালে টয়লেটে যাচ্ছিল এক জেলে। এমন সময় সমুদ্রের তীরে কিছু একটা জ্বলজ্বল করতে দেখেন। বালিতে হাত দিয়ে সেই জিনিস যখন তিনি বের করে আনেন তখন দেখেন সেটি একটি স্বর্ণপদক। ঘটনাটি ঘটেছে ভেনেজুয়েলার ক্যারিবিয়ান সমুদ্র সৈকতের পাড়ে অবস্থিত গুয়াকার গ্রামে। ওই জেলের নাম ইলম্যান ল্যারেস (২৫)।
ল্যারেস আরও বলেন, ‘অভাবের কারণে আমাদের জীবন চলে না। কিন্তু এক রকম অলৌকিক ঘটনায় আমাদের দিন ফিরে এসেছে। মাতা মেরির ছবি খোদাই করা স্বর্ণপদকটি পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলাম আমি।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ল্যারেসের সোনা কুড়িয়ে পাওয়ার খবর প্রকাশিত হতেই হুলস্থূল পড়ে যায় ওই গ্রামে। গ্রামের মানুষরা সেই সমুদ্রের ধারে এসে সোনার গয়নার সন্ধান শুরু করেন। গুয়াকা গ্রামের বেশিরভাগ জেলেরা উপকূলের পাশের বালিতে মাছ ধরার এবং প্যাকিংয়ের সরঞ্জাম দিয়ে সোনার খোঁজ শুরু করে। তাদের বিশ্বাস ছিল তারা আবারও এমন সোনা পেতে পারে।
গুয়াকা গ্রামের মোট জনসংখ্যা ২ হাজারের বেশি। সোনার সন্ধান মিলতেই বেশিরভাগ বাসিন্দারা পাগলের মতো সোনা খুঁজতে শুরু করে দেয়। এমনকি মাছ ধরার নৌকো দিয়ে তারা খোদাইয়ের কাজ শুরু করে। কিছু লোক তো সেখানেই ঘুমাতে শুরু করে যাতে অন্য কেউ সোনা না নিতে পারে।
সান নিউজ/এস