ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইয়াস প্রতিরোধে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ সব পৌর এলাকা সোমবার (২৩ মার্চ) থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার (২২ মার্চ) দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্য সচিবদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য ওড়িশা সরকার ৮ টি শহর সহ রাজ্যের পাঁচটি জেলায় রবিবার থেকে এক সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে।
এদিন থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজস্থানেও লকডাউন ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের। অবশ্য শাকসব্জি ও দুগ্ধজাত পন্যের মতো অত্যাবশ্যক সামগ্রী ও ওষুধের দোকান খোলা থাকবে।
রবিবার দুপুর পর্যন্ত গোটা ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭৫ জনে। মারা গেছেন অন্তত ৫ জন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪ এ দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, দেশটিতে করোনার সংক্রমণ রুখতে সকাল থেকে ১৪ ঘণ্টার জনতা কার্ফু পালন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে নরেন্দ্র মোদি করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জনতা কারফিউর ডাক দেন।
মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে রবিবার ছুটি ঘোষণা করে প্রায় সব সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এই প্রথম মোদির আহ্বানে সমর্থন জানিয়ে ট্রেন বন্ধ রাখা হয়।
শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার রাত ১০টা পর্যন্ত দেশের কোনো স্টেশন থেকে কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন ছাড়বে না। রোববার ভোর থেকে বন্ধ আছে মেইল ও এক্সপ্রেস ট্রেনও।