আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এবার ক্ষমতাসীন চীন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে জোর করে উইঘুর মুসলিমদের দিয়ে তুলা চাষ করানোর। তবে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি চীনের।
এ দিকে শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের দিয়ে দাসত্ব করানোর অভিযোগ উঠেছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে। চীন অবশ্য এই অভিযোগের কোনও জবাব দেয়নি। অন্যদিকে, এই অভিযোগ বিশ্বের প্রথম সারির কয়েকটি জুতো ও পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থার দিকেও।
এ বিষয়ে মার্কিন গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গ্লোবাল পলিসি সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংবাদ সংস্থা বিবিসিও। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে ৫ লাখ ৭০ হাজার উইঘুর মুসলিমকে তুলা চাষে বাধ্য করা হয়েছিল। তাদের দিয়ে জোর করে কাজ করানো হয় তা আধুনিক শ্রমিক অধিকারের বিরোধী। প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, তাদের সাথে মূলত দাসের মতো ব্যবহার করা হয়েছিল।
তবে শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের সাথে চীন প্রশাসনের এমন আচরণ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব অনেক অধিকার রক্ষাকারী সংস্থা। জাতিসংগ এ ব্যাপারে চীনের প্রতি অভিযোগ করে আসছে। সম্প্রতি জার্মানির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ ব্যাপারে চীনের সমালোচনা করেছিল। তবে দাসত্বের বিষয়টি এবারই সামনে এলো।
গোটা বিশ্বের ২০ শতাংশ তুলা উৎপাদন হয় চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে। চীন এই তুলা রফতানি করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। শিনজিয়াং প্রদেশের তুলা কিনে নেয় এডিডাস, নাইক ও গ্যাপের মতো সংস্থাগুলো। তবে অধিকার রক্ষাকারী সংস্থাগুলো বলছে, সেই সংস্থাগুলো এসব ব্যাপারে জেনেও চীনের কাছ থেকে তুলা কিনছে। অবিলম্বে তা বন্ধ করা উচিত।
মিউনিখে অবস্থিত উইঘুর মুসলিম কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ইসা জানিয়েছেন, শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর অত্যাচার ও গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে আগেই মামলা করেছিলেন তারা। এ বার দাসত্ব নিয়ে নতুন করে মামলা করা হবে। সূত্র : ডয়েচে ভেলে।
সান নিউজ/এসএ