আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : চীন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বেঁধে গেলে টানা ১৫ দিন যাতে লড়াই চালানো যায় সে রকমই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারত। অস্ত্রশস্ত্র এবং গোলাবারুদ-সহ যাবতীয় সমরাস্ত্রের ভাণ্ডার আরও মজবুত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে সরকারি এক সূত্র। বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে দেশীয় এবং বিদেশি সূত্র থেকে যাতে প্রচুর সমরাস্ত্র পাওয়া যায় তার জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
ওই সূত্রের দাবি, সমরাস্ত্রের সম্ভার বাড়ানোর জন্য আগেই বাহিনীকে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছিল। যে ভাবে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে, তাতে সম্ভাব্য পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই অস্ত্র সম্ভার বাড়ানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
ওই সূত্রের আরও দাবি, টানা ৪০ দিন লড়াই করার মতো অস্ত্র এবং গোলাবারুদ মজুত ছিল বাহিনীর কাছে। সেটা কমতে কমতে ১০ দিন যুদ্ধ সামাল দেওয়ার মতো অবস্থায় এসে দাঁড়ায়। তা ছাড়া যুদ্ধের ধরন পরিবর্তন হয়েছে, অস্ত্রের জোগানে টান পড়ায় এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে দাবি ওই সূত্রের।
উরি হামলার পরই দেখা যায় যে দেশের অস্ত্র সম্ভারে একটা বিশাল পরিমাণ ঘাটতি রয়েছে। তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর তিন বাহিনীর অস্ত্র সম্ভারকে বাড়াতে আরও অর্থ বরাদ্দ করেন। অস্ত্র কেনার জন্য তিন বাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়। তার পর থেকেই অস্ত্র সম্ভার বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ শুরু করে দেয় বাহিনী।
এই মুহূর্তে চীনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে একটা টানাপড়েন চলছে। পরিস্থিতি যথেষ্টই উত্তপ্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন একটা উত্তপ্ত আবহ যদি কোনও ভাবে যুদ্ধের দিকে মোড় নেয়, তা হলে তা প্রতিরোধ করা এবং সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে ভারতকে। সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অস্ত্র সম্ভারকে আরও মজবুত করার এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: আনন্দবাজার
সান নিউজ/পিডিকে/এস