আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতে আজ থেকে শুরু হল ‘জনতা কারফিউ’।
২২মার্চ রোববার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই জনতা কারফিউ পালিত হচ্ছে। এর মধ্যেই অনেক রাজ্য আংশিক শাটডাউন ঘোষণা করেছে।
১৯মার্চ বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে এই জনতার কারফিউ আহ্বান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ওই ভাষণে তিনি বলেন, জনতা কারফিউয়ের মধ্যে কারো উচিত হবে না বাড়ি থেকে বের হওয়া অথবা প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশা করা। যাদের অত্যাবশ্যকীয় সেবার প্রয়োজন শুধু তাদেরই ঘরের বাইরে যাওয়া উচিত।
আজ সকালে এই কারফিউ শুরুর কয়েক মিনিট আগে তিনি আবার টুইট করেন। তাতে লিখেন, কয়েক মিনিটের মধ্যেই শুরু হচ্ছে জনতা কারফিউ। আসুন সবাই এই কারফিউয়ের অংশীদার হই। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরা শক্তিশালী হই। ঘরের ভিতরে থাকুন। সুস্থ থাকুন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
এরমধ্যে জনগণের চলাচলের ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। ভারতে কমপক্ষে ৫ জন মারা গেছেন এ রোগে। গত দু’দিনে সেখানে কমপক্ষে ১০০ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে শনিবার পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৩১৫।
এ অবস্থায় সংক্রমণ ও মৃত্যু কমিয়ে আনতে সরকার জনতা কারফিউ জারি করে। এর মধ্যে বাড়িতে বসে সরকারি কাজ সারছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও।
ওদিকে মুম্বাইয়ের মানুষ আজ ঘুম থেকে জেগেই দেখতে পেয়েছেন ফাঁকা রাস্তাঘাট। কোথাও কোনো জনমানব নেই। খোলেনি কোনো দোকানপাট। যানবাহন রাস্তায় নেই বললেই চলে।
আগামী ২৫ শে মার্চ পর্যন্ত গুজরাটের চারটি শহরকে পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে।
এদিকে সকাল হতেই জনশূন্য কলকাতার রাজপথ। দুই-একটি ট্যাক্সি, হাতে গোনা সরকারি বাস ছাড়া পথে নামেনি কোনো গণপরিবহন। বাকি রাজ্যের দৃশ্যটাও কার্যত একই।
সকালে ফাঁকা লোকাল ট্রেনের কামরা। কোনো কোনো বাজারে দুই-একটি দোকান খুললেও দেখা পাওয়া যায়নি ক্রেতার। চেনা ব্যস্ততার সামান্যতম চিহ্ন নেই বেহালার শকুন্তলা পার্ক, বকুলতলা বাজার থেকে উত্তর কলকাতার পাতিপুকুরের পাইকারি মাছের বাজারে।
সান নিউজ/সালি