ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: সারা পৃথিবী যখন তোলপাড় রহস্যময় করোনাভাইরাস মোকাবেলায়, তখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করছেন, এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়েছেন রাশিয়া। বিশ্লেষকরা বলছেন, যথাসময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হওয়ায় ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছে পুতিনের দেশ।
করোনাভাইরাসের উৎপত্তি চীন থেকে। সেখানে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ এবং ৩ হাজার ২৫৫ জনের মৃত্যূ হয়েছে।দেশটির সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত থাকার পরও রাশিয়ায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩০৬ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মাত্র একজনের।
ৎরাশিয়া সরকারের ভাষ্য- করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে পুতিনের কৌশল কাজে দিয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের মতও তাই। এ সপ্তাহে পুতিন বলেছেন, করোনার বিস্তার ঠেকাতে পেরেছে তার দেশ। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন বলছে, চীনে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ার পরপরই সচেতন হয়ে ওঠে রাশিয়া। ৩০ জানুয়ারি চীনের সঙ্গে ২৬শ' মাইলের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় তারা। মুহূর্তেই কোয়ারেন্টিন জোন গড়ে তোলে পুতিনের সরকার। করোনা ঠেকাতে রাশিয়ার এই কৌশল কাজে দিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা প্রতিরোধে সবথেকে জোর দিচ্ছে বেশি বেশি পরীক্ষার ওপর। রাশিয়ায় সংস্থাটির প্রতিনিধি ড. মেলিতা ভোজনোভিস বলেছেন, আক্ষরিক অর্থে এই পরীক্ষার কাজই জানুয়ারির শেষে শুরু করে রাশিয়া। একই সঙ্গে সীমান্ত বন্ধে পদক্ষেপ নেয় তারা। তিনি বলেন, পরীক্ষা এবং করোনায় আক্রান্তদের শনাক্ত, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখার রাখার কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর এটিই করেছে রাশিয়া। অন্য যেকোনও দেশের তুলনায় খুব দ্রুত গতিতে করোনার পরীক্ষা চালিয়েছে তারা। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে ব্যাপকহারে এই কার্যক্রম চালু করে তারা।
শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা অর্থ্যাৎ একজন থেকে আরেকজনের দূরে রাখার ব্যাপারটিও এই সংকট মোকাবিলায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এখানেও শক্ত পদক্ষেপ ছিল রাশিয়ার। বিমানবন্দরে বিশেষ করে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা ব্যক্তিদের পরীক্ষায় বেশি গুরুত্ব দেয় দেশটি।
অবশ্য পুতিন কিংবা সরকারি কর্তৃপক্ষ করোনা নিয়ন্ত্রণের খবর দিলেও দেশের মধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আক্রান্ত ও মৃতের তথ্যের সত্যতা নিয়ে কথা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।