আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চীনের বিরোধিতা করা একটি অস্ত্র হয়ে উঠছে। সম্প্রতি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এর মন্তব্য পাওয়ার পর নড়েছড়ে বসেঝে নয়াদিল্লি। উভয় সংকটে পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ ভাষ্য ভারতের কাছে উভয় সংকটের মতোই। এনডিটিভি।
এদিকে গ্লোবাল ডায়লগ সিকিউরিটি ফোরামের এক আলোচনায় ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত জানিয়েছেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দিল্লি ও এর সহযোগীদের ১২০টির বেশি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন রয়েছে। চীনকে ঠেকাতেই যে এমন উদ্যোগ, বিশ্লেষকরা সে রকমই মনে করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জোট বজায় রাখা এবং তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ভূকৌশলগত বিশ্বের বাস্তবতার মধ্যে পড়ে। অন্যদিকে পুরানো মিত্র রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সামরিক সম্পর্ক সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ। রাশিয়াই চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে জোড়া লাগানোর জন্য কয়েক মাস ধরে পেছন থেকে কাজ করে চলেছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের জবাব সতর্কভাবে দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব।মস্কোর সঙ্গে ভারতের বিশেষ কৌশলগত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘আশা করব আমাদের মিত্ররা বুঝবেন এবং মনে রাখবেন, ভারতের পররাষ্ট্রনীতি স্বাধীন এবং তা জাতীয় স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।’
প্রত্যেকটি দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কও স্বাধীন এবং তা কোনও তৃতীয় দেশের ওপর নির্ভরশীল নয় বলেও মন্তব্য করেন শ্রীবাস্তব। দীর্ঘদিন ধরেই এশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় নিজের প্রভাব ও প্রতিপত্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে চীন। আগে বিষয়টির প্রতি সেভাবে নজর না দিলেও এখন তাদের মোকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত ও তার সহযোগী দেশগুলো।
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর থেকে ভারতের সঙ্গে চীনের বিবাদ আরও বেড়েছে। সে কারণে ভারত মহাসাগরে রণতরী মোতায়েন করার বিষয়টিকে সোজাভাবে দেখছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।
সান নিউজ/এসএ