আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মাহামারির কারণে গত ৭ মাসে সোয়া ১ লাখের বেশি রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে, বন্ধের পথে আরও প্রায় ১০ হাজার দোকান। হাত পা গুটিয়ে পথে বসেছে মার্কিন রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা। চলতি বছরেই প্রায় ২৪ হাজার কোটি ডলার ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশের জাতীয় রেস্তোরাঁ এসোসিয়েশন জানিয়েছে, মহামারির থাবায় এরই মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি রেস্তোরাঁ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন মালিকরা। সরকারি প্রণোদনা না পেলে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে আরও ১০ হাজারের বেশি রেস্তোরা ও ক্যাটারিং সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ম্যাকডোনাল্ডসের ১৪ হাজার আউটলেটের মধ্যে ২শটি এ বছর স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গত আগস্টে রেস্তোরা গুলোতে গড়ে ৩৪ শতাংশ বিক্রয় কমেছিল, আর ৬০ শতাংশ রেস্তোরায় সাধারণ হিসেবের চেয়ে বেশি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় করতে হয়েছে।
তবে ৪০ শতাংশ রেস্তোরা কর্তৃপক্ষ মনে করেন যে যদি আর কোন ত্রাণ প্যাকেজ না থাকে তাহলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে এ ব্যবসা ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে। রেস্তোরাগুলো কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সে সম্পর্কে গ্রাহকরা সচেতন।
তবে ৮৮ শতাংশ উল্লেখ করেছেন যে, রেস্তোরাগুলো কমিউনিটির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বর্তমানে যে সব রেস্তোরা চালু রয়েছে সেগুলোর ওপর চেপে বসছে লোকসানের বোঝা। আগামী তিন মাসে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
রেস্তোরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছর শেষে মোট ক্ষতির প্ররিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ২৪ হাজার কোটি ডলার। এ অবস্থায় ব্যবসা টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে দ্রুত রেস্তোরাঁ আইন পাসের দাবি জানিয়েছেন তারা।
প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে আবারও ভয়ংকর হতে শুরু করছে মহামারি করোনাভাইরাস। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ কোটি ৭ লাখ। এ মহামারিতে আক্রান্ত হওয়া পর্যন্ত বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৮ হাজার।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৬০ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯২ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৬৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই মারা গেছে রেকর্ড প্রায় ৩ হাজার মানুষ। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে প্রায় ৫ লাখ। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে যেমন সবার উপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র; তেমনি সুস্থ হয়ে ওঠার দিক দিয়েও শীর্ষে রয়েছে দেশটি।
সান নিউজ/এসএ