আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশে দ্রুত এবং সমতাভিত্তিতে করোনা ভাইরাসের টিকা বিতরণ করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু’দিনের ভার্চুয়াল মিটিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম খেত্রাপাল সিং বলেছেন, টিকা উৎপাদনকারী এবং নিয়ন্ত্রণকারী খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে সমতার ভিত্তিতে এবং কার্যকরভাবে এই টিকা বিতরণে।
ওদিকে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক বা এডিবি এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে টিকাদান কর্মসূচিতে ৯০০ কোটি ডলারের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগের নাম দেয়া হয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক ভ্যাক্সিনেশন এক্সেস ফ্যাসিলিটি। ভাইরাস সংক্রমণের চেইন ভেঙে দিতে, জীবন রক্ষা করতে এবং অর্থনীতিকে পূর্বাবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য দ্রুত গতিতে এবং সমতার ভিত্তিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এই টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে সমর্থন দিচ্ছে তারা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই বৈঠক আহ্বান করা হয় টিকা তৈরি এবং এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে।
এক্ষেত্রে বড় রকমের একটি আশঙ্কার কথা বলা হয়। তাহলো, দরিদ্র দেশগুলো টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে।ড. খেত্রাপাল বলেন, এ অঞ্চলের সব দেশই উন্নয়নশীল। তারা টিকাদান পরিকল্পনা এবং জাতীয় পর্যায়ে এই টিকা বিতরণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে। এক্ষেত্রে তিনি অংশীদারদের মধ্যে সব পর্যায়ে কার্যকর সমন্বয়, সহযোগিতা এবং তথ্য-বিনময়ের ওপর গুরুত্ব দেন।
ড. খেত্রাপাল বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের দেশগুলো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি টিকা প্রস্তুতকারকদের মধ্যে অবস্থান করছে। আশা করা হয়, এখানে প্রস্তুতকৃত টিকা বিশ্বজুড়ে শত শত কোটি মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হবে। আমি এ বিষয়ে সুনিশ্চিত যে, এই অঞ্চল ও বিশ্বের সব মানুষের সংহতির মাধ্যমে একত্রিতভাবে আমরা স্বাস্থ্য এবং সব মানুষের মঙ্গলের জন্য অবদান রাখি।এর মধ্যে গতকাল এডিবি ৯০০ কোটি ডলারের এশিয়া প্যাসিফিক ভ্যাক্সিন এক্সেস ফ্যাসিলিটির ঘোষণা দিয়েছে।
সান নিউজ/পিডিকে