আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের কৃষকদের নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন আরও তীব্র হচ্ছে। শুক্রবারই কৃষকরা হুমকি দিয়েছিলেন তারা টোল সংগ্রহ করতে দেবেন না। সেই মতো রাত থেকেই হরিয়ানার অম্বালায় শম্ভু টোল প্লাজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া বস্তারা টোল প্লাজাও বন্ধ করে দেওয়া হয় রাতেই।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের ঘোষণা মতোই দিল্লির চারদিকের রাস্তা আটকানো থেকে শুরু করে টোল প্লাজা বন্ধ করে দেওয়া থেকে শুরু করে সবই করেছেন প্রতিবাদী কৃষকরা।
শনিবার ১৭তম দিনের মতো গড়ালো কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন। শুক্রবারই দেশের সর্বোচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে কৃষকদের পক্ষ থেকে। তার পরেই বিজেপির জোট সঙ্গী জননায়ক জনতা পার্টি বিরোধিতা শুরু করে।
দুষ্মন্ত চৌতালা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, যদি বিজেপি কৃষকদের দাবি না মানে তা হলে তিনি পদত্যাগ করবেন। অন্য দিকে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই আন্দোলনে এসে যোগ দিয়েছে কট্টরপন্থী বাম সংগঠন।
সেই সংগঠনগুলি আন্দোলনের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কৃষক সংগঠনগুলি। কৃষক আন্দোলন মোকাবিলায় দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় শনিবার ভোর থেকেই রয়েছে পুলিশি পাহারা।
গুরুগ্রাম ও ফরিদাবাদে সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। রাজধানীতেও একাধিক অংশে পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে প্রতিবাদরত কৃষকদের আটকানোর জন্য। কৃষকরা হুমকি দিয়েছিলেন,তারা দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে বন্ধ করে দেবেন।
কোনও ভাবে যাতে সেই কর্মসূচির কারণে দিল্লি অবরুদ্ধ না হয়ে যায়, তার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
সান নিউজ/এসএ