আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্ষমতা ছাড়ার আগে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে তাড়া দিচ্ছে বিদায়ি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানাতে ব্র্যান্ডন বার্নার্ড নামে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বার্নার্ড শেষ মুহুর্তে ক্ষমাপ্রার্থনা করলেও মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট তা নাকচ করে দেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন হওয়ার অন্তর্বর্তী সময়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করার ‘সৌজন্য’ চলে আসছে ১৩০ বছর ধরে। বার্নার্ডের মৃত্যু কার্যকরের মাধ্যমে সেই সৌজন্য লঙ্ঘন করলেন ট্রাম্প।
বার্নার্ডের পর আরও চারজন আসামি আছেন, যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য তাড়া দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। কারণ, জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখেই ক্ষমতার পালাবদল হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবেন জো বাইডেন। অর্থাৎ আগামী এক মাসের মধ্যেই বাকি চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরিকল্পনা নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এই আদেশ কার্যকর হলে গত ১০০ বছরের মধ্যে ট্রাম্পের আমলেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। এই পাঁচটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে ট্রাম্পের আমলে মোট মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১৩ তে। ট্রাম্পের আদেশে জুলাই মাস থেকে এরই মধ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
১৯৯৯ সালে একটি হত্যার দায়ে ৪০ বছর বয়সী ব্র্যান্ডন বার্নার্ডকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৭০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সর্বকনিষ্ঠ অপরাধী বার্নার্ড। অপরাধ সংঘটনের সময় তিনি কিশোর ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এর আগে বার্নার্ড যে দম্পতিকে হত্যা করে তার পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
সান নিউজ/পিডিকে/এস