আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের কৃষক সমাজের ওপর জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের লাগাতার আন্দোলন ও বিক্ষোভে উত্তপ্ত ভারতের রাজনীতি। এ আইন নিয়ে বিজেপি সরকারের টালবাহানা আর কৃষকদের অনড় অবস্থানের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ( ১০ ডিসেম্বর) আন্দোলনরত কৃষকরা হুমকি দিয়ে বলেন, এই অবস্থায় রেল পরিষেবা অচল করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন তারা। সিংঘু সীমানায় আন্দোলনরত কৃষক নেতা বুটা সিং ঘোষণা দেন দাবি আদায় না হলে, এবার রেল লাইনও অবরোধ করা হবে। খুব শিগগিরই রেল রোকোর দিন ঘোষণা করা হবে।
আন্দোলনরত কৃষকরা দাবি আদায়ের জন্য একে একে সব সড়ক অবরুদ্ধ করে রাজধানী দিল্লি অচল করে দেওয়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছেন ঠান্ডা উপেক্ষা করে দিনে দিনে বিক্ষোভের মাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংযুক্ত কিষাণ মঞ্চের নেতা বুটা সিং আরও বলেন, ‘সরকারকে আমরা ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছি। আমাদের দাবি নরেন্দ্র মোদি কৃষি আইনগুলো বাতিল না করলে, আমরা দেশজুড়ে রেল লাইন অবরোধ করব। দেশের সর্বস্তরের মানুষ রেল অবরোধে শামিল হবে।’
আগে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ১২ ডিসেম্বর শনিবার দিল্লি-আগ্রা ও দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে অবরোধ করা হবে। এর পরেও দাবি না পূরণ হলে ১৪ ডিসেম্বর বিজেপি নেতা ও মন্ত্রীদের বাড়ি, দফতর ঘেরাও করবে কৃষকরা। এদিকে কৃষক সংগঠনগুলোর আন্দোলনের সুর পাল্টানোর মধ্যেই এদিন ফের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।
টুইটে তিনি বলেন, ‘নতুন কৃষি আইন নিয়ে কৃষক নেতাদের সঙ্গে খোলা মনে আলোচনায় কেন্দ্র রাজি। কৃষি আইন নিয়ে কৃষক নেতাদের মনে কোনও সন্দেহ থাকলে, আমরা তা স্পষ্ট করবো ‘ তবে নতুন কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের অবস্থান স্পষ্ট। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আইন বাতিল ছাড়া আমরা আর কিছু ভাবছি না। সরকার যে সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছে, তার মধ্যে নতুন কিছু নেই বলে কৃষক নেতারা দাবি করেছেন।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছেন আইন বাতিলের প্রশ্নই উঠছে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নয়া কৃষি আইনের পক্ষেই। সরকার ও কৃষকদের বিপরীত অবস্থানের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। কৃষকরা আরও বড় আন্দোলনের হুমকি দেওয়ায় আগামী দিনের রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।
সান নিউজ/এসএ