সান ডেস্ক:
থমকে গেছে পৃথিবী। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এক দেশ থেকে আরেক দেশ। বিশ্বব্যাপী একের পর এক পুঁজিবাজারে ধ্বস, একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-হোটেল-রেস্তোরা-সুপার শপ। সুনসান নিরবতা পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে। এমনকী মসজিদ-মন্দীর-গির্জা-প্যাগোডার দরজাও বন্ধ। নিরব এক ঘাতক করোনভাইরাস ওলোটপালোট করে দিয়েছে বিশ্ব ব্যবস্থাকে। ইউরোপ ছাপিয়ে করোনার ছোবলে বিপর্যস্ত হওয়ার পথে দক্ষিণ এশিয়া। মরণঘাতি ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনেক প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও এ অঞ্চলের দেশগুলো যে যার মতো করে করণীয় নির্ধোরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দেশের সকল পর্যটন কেন্দ্র। প্রয়োজনে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ার কথা জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে, বলা হয়েছে কিছু এলাকা শাট ডাউন করার কথাও। ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে- যে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা তাদের কাজ বাড়িতে বসেই করতে পারেন সেসব প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঘোষণার। সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। মৃত্যূ হয়েছে ১ জনের।
সমগ্র বিশ্বের মতো করোনা আতঙ্কে বিধ্বস্ত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ভারত। সম্ভাব্য বিপর্যয়ের আশঙ্কায় দিক নির্দেশনা দিতে আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার টুইট বার্তায় একথা জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
আর তাতেই নানা ধরণের বিশ্লেষণ চলছে ভারত জুড়ে। মোদী কি বলবেন, তা নিয়ে অপেক্ষায় ভারতবাসী। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৪-এ। মৃতের সংখ্যা ৩। সব মিলিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরে ব্যাপক আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। এর আগে গত ১৫ মার্চ নরেন্দ্র মোদি সার্কভূক্তে দেশগুলির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে করোনা মোকাবেলায় পৃথক এক তহবিল গঠনের আহবান জানা।
করোনা আতঙ্কে ভারতের স্কুল-কলেজ-সিনেমা হলসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে৷ সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে রেস্তোরাঁ ৷ পাশাপাশি মঙ্গলবার থেকে বন্ধ করা হয়েছে ভারতের ঐতিহ্যবাহী সৌধ তাজমহল। পর্যটকদের ভিড় এড়াতেই পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য আপাতত কিছুদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য নগরী মুম্বইতে ৫০ শতাংশ কর্মীকে বাড়িতে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা রুখতেই প্রাথমিক ভাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসের মরণ থাবায় পাকিস্তানে পাকিস্তানে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ শতাধিক। মারা গেছেন ২ জন। পাকিস্তানে করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে, এমন আশঙ্কায় বিশ্বের ধনী দেশগুলির কাছে সরাসরি সাহায্য চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ দেশটির বিদেশি সব ঋণ মুওকুফ করে দিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আবেদন জানিয়েছেন ইমরান।