ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
ভারতে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে ‘গো-মূত্র’ খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে অনেকেই। অনেকরে ঠিকানা এখন হাসপাতালে। তাদেরই একজন পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রামের শিবু গরাই। গো-মূত্র পান করে অসুস্থ্য হয়ে জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি। মেডিসিন ওয়ার্ডে জায়গা মেলেনি। তাই মেঝেই ভরসা।
ঝাড়গ্রাম শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের জামদা এলাকায় শিবুর বাড়ি। শিবু অবশ্য এখন বলছেন, ‘খুব ভুল করেছি। করোনা ঠেকাতে আমার মতো আর কেউ যেন গোমূত্র পান না করেন।
কয়েক দিন আগে বন্ধুদের সঙ্গে মায়াপুরে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার সময়ে সেখান থেকে ১৮০ টাকা দিয়ে কিনে আনেন এক শিশি গোমূত্র। তাতে লেখা ‘গো-আরক’। শিবু বলেন, বিক্রেতা জানিয়েছিলেন এক থেকে দুই ছিপি ওই ‘গো-আরক’ নিয়মিত খেলে শরীরের রক্তদোষ কাটে। করোনাসহ নানারকম শারীরিক ব্যাধি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। করোনা ভয় কাটাতে বিশ্বাস করেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ছিপি গোমূত্রের আরক খেয়েছিলাম। তার পরে থেকেই শরীরে নানা অস্বস্তি শুরু হয়। গলা ও বুক জ্বলতে থাকে।
এমন পরিস্থিতিতে শিবুকে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে শিবুকে ভর্তি করে নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার শিবু বলেন, ‘পরিবারে আমিই রোজগেরে। তাই আমার করোনা হলে ব্যবসা লাটে উঠবে, এমন আশঙ্কাতেই গোমূত্রের আরক খেয়েছিলাম। অন্ধবিশ্বাসে ভেবেছিলাম, প্রতিষেধকের কাজ করবে। অসুস্থ হয়ে বুঝেছি কী ভুল করেছি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, শিবুর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হচ্ছে। এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা