আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত পাঁচ বছরে সৌদি আরবের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। রক্ষণশীল সৌদি সমাজ এখন পশ্চিমা ঢঙের উদারনৈতিকতার দিকে ঝুঁকেছে। এখন নারীরাও প্রকাশ্যে আসছেন পশ্চিমা পোশাকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক ভ্রমণ প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উঠেছে।
প্রতিবেদনের লেখক নিক রবার্টসন সৌদি নাগরিকদের এই পরিবর্তনকে ‘অবিশ্বাস্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। আর এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে এমবিএস হিসেবে পরিচিত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কারণে। নিক লিখেছেন, ‘২০১৮ সালের এক দিন বিকেল হওয়ার আগ মুহূর্তে আমি রিয়াদের একটি একটি ফাঁকা ক্যাফের কাছে লোকজনের সঙ্গে কথা বলছিলাম।
একসময় যাদের ভয় ও শ্রদ্ধার চোখে দেখা হতো সেই ধর্মীয় পুলিশের একটি গাড়ি রাস্তার পাশে দাঁড়ালো। তারা লোকজনে নামাজে যাওয়ার অনুরোধ করছিল। এর আগে চিত্রটি ছিল ভিন্ন। মানুষ তাদের দেখামাত্র আদেশ তামিল করতো। তবে এই সময় মানুষদের মধ্যে নড়াচড়ার কোনো চিহ্নই দেখা গেলো না।’
এর কারণে হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, যুবরাজ এই ধর্মীয় পুলিশদের ক্ষমতা কমিয়েছেন। মানুষ তার পছন্দ বেছে নিচ্ছে। নিক বলেন, ‘সেটা ছিল দুই বছর আগের কথা। এখন ধর্মীয় পুলিশের অধিকাংশ কাজকর্ম অফিসে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। ইসলামের কড়াকড়ি শিথিল হয়ে পড়ছে।’তিনি জানান, এখন ক্যাফেগুলো ছাড়াও বাইরে উৎসবের আমেজ। পুরুষ ও নারী একসঙ্গে আনন্দ করছে, দেখা-সাক্ষাৎ করছে, কেনাকাটা করছে।
মুনিরা আল-কোয়াইত নামে ২০ বছর বয়সী এক ফ্যাশন ডিজাইনার বললেন, ‘আমরা আনন্দ এখন অনেক বেশি। সিনেমা দেখতে যাচ্ছি, বাইরে রেস্তোরাঁয় যাচ্ছি এবং বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি।’মুনিরাদের পাশেই ফ্যাশনেবল জামা পরে বসেছিলেন কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক ৪২ বছরের টুটু।
তিনি বললেন, ‘সৌদিতে বসবাসকারী হিসেবে আমাদের জীবন এখন পুরোপুরি বদলে গেছে। আসলে সব সিদ্ধান্ত যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নিয়েছিলেন। এই পরিবর্তনে সব সৌদি নাগরিক খুশি।’
সান নিউজ/পিডিকে