ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেয়া নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে মেতেছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নভেল করোনাভাইরাসকে ‘চীনা ভাইরাস’ বলে উল্লেখ করার সঙ্গে সঙ্গেই এর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন।
সোমবার রাতে ট্রাম্প এক টুইটে করোনাভাইরাসকে ‘কোভিড-১৯’ না বলে ‘চাইনিজ ভাইরাস’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, চীনা এ ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এয়ারলাইনসসহ অন্যান্য সব ইন্ডাস্ট্রির পাশে যুক্তরাষ্ট্র অবিচলভাবেই দাঁড়াবে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগে অভিযোগ করে বলেছিলেন, বাইরে থেকে ভাইরাসটি যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেছে। কিন্তু সোমবারের টুইটে তিনি সরাসরি এ ভাইরাসকে চীনা তকমা দেন।
এরপরই চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, “চীনকে অপবাদ দেওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নিজের চরকায় তেল দেওয়া।”
এর আগে গত সপ্তাহে এ ভাইরাস ছড়ানোর জন্য চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীই এ ভাইরাস চীনের ওই অঞ্চলে ছড়িয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলবও করে।
চীনের এই অভিযোগের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও চীনকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে বলেন।
এদিকে ট্রাম্পের এমন কটাক্ষপূর্ণ টুইট ‘চীনকে কলঙ্কিত করার সামিল’ বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং সুয়াং।
তিনি বলেন, “আমরা চাই যুক্তরাষ্ট্র এ ভুল শুধরাক এবং চীনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা বন্ধ করুক।”
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, ট্রাম্প যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা বর্ণবাদী এবং বিদ্বেষমূলক। এতে করে রাজনীতিবিদদের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতা’ এবং ‘অদক্ষতার’ পরিচয়ই ফুটে উঠেছে। আর ভাইরাসটি নিয়েও আতঙ্ক বাড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাস রোগ (কোভিড-১৯) এর প্রাদুর্ভাব প্রথম ঘটেছিল ২০১৯ সালের শেষদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে। এরপর থেকেই এ ভাইরাস ছড়ানো নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্র পাল্টাপাল্টি দোষারোপ চলছে।