ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ রাজ্যেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সবশেষ গত মঙ্গলবার পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছে। পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় আক্রান্ত প্রথম রোগীর বিষয়ে ঘোষণাকালে গভর্নর টিম জাস্টিস বলেন, ‘আমরা এই পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করছিলাম।’ স্যান ফ্রান্সিসকোর উপকূল অঞ্চলের মতো নিজেদের অবরুদ্ধ করে রাখা বা লকডাউনের চিন্তা করছে নিউ ইয়র্ক। ১৮ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার ৫০৯ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যূ হয়েছে ১১৫ জনের।
সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকার কর্তৃপক্ষ ৭ এপ্রিল পর্যন্ত সেখানকার ছয় লাখ ৭০ হাজার মানুষকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, বিভিন্ন রাজ্যের গভর্নরদের অনুরোধে ভাইরাস আক্রান্ত এলাকাগুলোতে মাঠপর্যায়ে হাসপাতাল তৈরি করার নির্দেশ দিতে পারে হোয়াইট হাউস। পেন্টাগন প্রধান মার্ক এস্পার জানিয়েছেন, শ্বাস প্রশ্বাসে সহায়ক ৫০ লাখ মাস্ক এবং দুই হাজার ভেন্টিলেটর স্বাস্থ্য বিভাগকে দেবে সেনাবাহিনী। এছাড়া, বেসামরিক নাগরিকদের জন্য সেনাবাহিনী তাদের ১৪টি অনুমোদিত করোনা ভাইরাস পরীক্ষার গবেষণাগারও উন্মুক্ত করে দেবে।
এদিকে পবিত্র মক্কা ও মদিনা বাদে অন্য আর সব মসজিদে নামাজ আদায় স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা দ্য কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলার্স ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বৈঠকের পর মসজিদগুলোতে নামাজে স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্তের কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে মুসলিমদেরকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে আপাতত মসজিদে না যেতে আহ্বান জানানো হয়েছে। তাদেরকে বরং এ সময়ে বাড়ির ভিতরে নামাজ আদায় করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, শুক্রবার জুমার নামাজ সহ জামায়াতে আদায় করা হয় এমন সব নামাজ স্থগিত রাখতে জোরালোভাবে সম্মতি দেয়া হয়েছে। তবে এর বাইরে থাকবে মক্কায় গ্রান্ড মসজিদ ও মদিনায় মসজিদে নববী। এতে জানানো হয়েছে, মসজিদগুলোর দরজা অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। কিন্তু সেখান থেকে আযান দেয়ার অনুমোদন থাকবে।
সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন প্রায় আট হাজার।