আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের বর্তমান সংসদ ভবনটি প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন হিসেবে ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে। প্রায় ৫৬০ ফুট ব্যাসের বৃত্তাকার এই ভবনটি প্রত্নতাত্তিক অধিদফতরকে দেয়া হবে। তার পাশেই ত্রিভুজাকৃতির নতুন সংসদ ভবন তৈরি করতে যাচ্ছে ভারত। আগামী ১০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন সংসদ ভবনের শিলান্যাস ও ভূমিপূজা করবেন।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তার সরকারি বাসভবনে গিয়ে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে শিলান্যাস অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। লোকসভার স্পিকারই সংসদ ভবনের তত্ত্বাবধায়ক।
প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিড়লা বলেন, ‘দিন তারিখ ঠিক হয়েছে ১০ ডিসেম্বর দুপুর একটায় শিলান্যাস হবে। প্রধানমন্ত্রীর ভূমিপূজার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে। ২০২২ এ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে আমরা নতুন সংসদ ভবনে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু করব।
নতুন সংসদ ভবনটি হবে প্রায় ৬৪ হাজার ৫০০ বর্গমিটার জায়গার উপরে। আর এ জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৯৭১ কোটি টাকা।
স্পিকার জানান, নতুন ভবনে লোকসভায় ৮৮৮ জনের বসার ব্যবস্থা হবে। আর রাজ্যসভায় ৩৮৪ জন বসতে পারবেন। এখন লোকসভায় ৫৪৩ জন ও ও রাজ্যসভায় ২৪৫ জন সাংসদ রয়েছেন। জনসংখ্যার অনুপাতে ভবিষ্যতে সাংসদ সংখ্যাও বাড়াতে হতে পারে বলেই এই ব্যবস্থা।
নতুন ভবনে কনস্টিটিউশন হল থাকবে। বর্তমানে শ্রম মন্ত্রণালয়, জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের ঠিকানা শ্রমশক্তি ভবন। তা ভেঙে সাংসদদের দফতর তৈরি হবে বলে জানান স্পিকার ওম বিড়লা। বর্তমান সংসদ ভবন যে ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল, তা মনে করিয়ে দিয়ে স্পিকার বলেন, ‘দেশের মানুষের জন্য গর্বের বিষয় হল, এই সংসদ ভবন দেশের মানুষের হাতেই তৈরি হবে। আত্মনির্ভর ভারতের প্রধান উদাহরণ হবে।’
স্পিকার বিড়লা আরও বলেন, নতুন সংসদ ভবন তৈরিতে সরাসরি ২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। পরোক্ষভাবে ৯ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুযায়ী খরমাস শুরু হয়ে যাচ্ছে। এই সময় কোনও শুভকাজ করতে নেই। খরমাস শেষ হবে নতুন বছরের ১৫ জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তির সময়। সেই কারণেই ১০ ডিসেম্বর দিনটিকে শিলান্যাসের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
স্পিকার জানিয়েছেন, কোভিডের বিধি-নিষেধ মেনেই অনুষ্ঠান হবে। সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। অনেকে সশরীরে হাজির হবেন। আবার অনেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেবেন।
টাটা প্রজেক্টস ও কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতর ইতিমধ্যেই নতুন সংসদ ভবনের কাজ শুরুর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বর্তমান সংসদ ভবনের সামনে যে অংশে কাজ হবে, সেই এলাকাটি ঢেকে ফেলা হচ্ছে। শব্দ ও বায়ুদূষণ যথা সম্ভব কম রাখার জন্যই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।সূত্র: আনন্দবাজার।
সান নিউজ/এসএ