আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে আরও একদফা আলোচনায় বসতে যাচ্ছে আন্দোলনকারী কৃষকরা ও মোদি সরকার। আগামী বুধবার (৯ ডিসেম্বর)দুপক্ষের মধ্যে নতুন করে আলোচনায় বসার তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে।
শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) সরকারের সঙ্গে বৈঠকে আবারও কৃষি আইন বাতিলের দাবিও তোলেন কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। কিন্তু আইন প্রত্যাহারে করতে রাজি না কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সিদ্ধান্ত সরকারের তরফেও স্পষ্ট করে দেয়া হয়। কৃষকরাও নিজেদের দাবিতে অনড় থাকেন।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকেই সমাধানের পথ খোঁজার দায়িত্ব দেন কৃষকরা। সরকারের পক্ষ থেকে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের চা এবং খাবার দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা আগের দিনের মতোই প্রত্যাখ্যান করেন প্রতিনিধিরা। তারা নিজেদের আনা চা এবং খাবার খান।
এই আলোচনায় বিতর্কিত তিনটি আইন সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাহার করা হবে নাকি সেগুলি সংশোধন করা হবে, সেদিনই তা চূড়ান্ত হতে পারে। তবে নিজেদের দাবি থেকে একচুলও নড়তে নারাজ আন্দোলনকারী কৃষকরা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, এ সমস্যার সমাধানের পথ সরকারকেই বের করতে হবে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই।
আন্দোলনকারী কৃষকরা প্রথমে বলেছিলেন, আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কোনও আলোচনায় তারা যাবেন না। কিন্তু শনিবার আলোচনা শেষে তাদের অনড় অবস্থানের কিছুটা সরে এসেছে। বিজ্ঞান ভবনে বৈঠকের সময় কৃষকদের একটি দল গ্রেটার নয়ডা দিয়ে দিল্লিতে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের যমুনা এক্সপ্রেস ওয়েতে আটকে দেয়া হয়।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, দেশের রাজধানীর সিংঘু, অচণ্ডী, লামপুর, পিয়াও মানিয়ারি এবং মঙ্গেশ সীমানা এখনও বন্ধই রয়েছে। ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দুদিক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। যাত্রীদের বলা হয়েছে, আউটার রিং রোড এবং জিটিকে রোডও এড়িয়ে যেতে। সাফিয়াবাদ, ধানসা, কাপাসেরা, রাজোক্রি, পলাম বিহার এবং দৌন্দেরার রাস্তা ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে গিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর। কৃষকদের দাবি মেনে নয়া কৃষি আইনে সংশোধনী আনতে পারে মোদী সরকার। বিলে কী ধরনের সংশোধনী আনা হতে পারে, তা নিয়েই মোদীর সঙ্গে আলোচনা করেন অমিত-রাজনাথরা।
এরপর বৈঠকে কৃষকদের লিখিত প্রস্তাবনা দেয়া হয়। সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাও হয়। কিন্তু সবশেষ কোনও সমাধানে আসতে পারেননি। কৃষকরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন। তারা সেই বিলের ৩৯টি ত্রুটি তুলে ধরেন। তাদের একমাত্র দাবি, এই আইন প্রত্যাহার করতে হবে।
সান নিউজ/এসএ