আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের জন্য নিজেদের আকাশপথ উন্মুক্ত করে দিল সৌদি সরকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টা ও তার জামাতা জেরার্ড কুশনার ও তার টিমের মধ্যপ্রাচ্য সফরের অল্প সময়ের মধ্যে এ সিদ্ধান্তের কথা আসল সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি মীমাংসা করতে পেরেছি।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে কাতার ভিত্তিক আলজাজিরা। মূলত সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচলের সুবিধার্থে ইসরায়েলকে আকাশপথ খুলে দিল সৌদি আরব।
হোয়াইট হাউসের সে কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমিরাত ও বাহরাইনে ইসরায়েলি উড়োজাহাজ যাতায়াত নিয়ে যে কোনও সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।’সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের উপস্থিতিতে হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ ও আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে আমিরাত, বাহরাইন ও সুদান। এর পেছনে জেরার্ডের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়ে থাকে।
এদিকে সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যে বিরোধ মেটাতে তৎপর ট্রাম্প-জামাতা কুশনার। এ নিয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলন হামাস ও মিসরের ইসলামপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পর্ক রাখায় কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে সহায়তার অভিযোগ আনে সৌদি আরব।
দেশটি সঙ্গে যোগ দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর। ২০১৭ সালে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে আরব দেশগুলো। এখন সৌদি ও কাতার উভয় দেশই চায় এ বিরোধের অবসান হোক। ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের সঙ্গে তিন দেশের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। এর পেছনে জেরার্ডের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়ে থাকে।
সান নিউজ/এসএ