আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মহসেন ফখরিজাদেহর গুপ্ত ঘাতকের হাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইরান। পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যাকারী এবং হত্যার নির্দেশ দাতাকে সর্বোচ্চ শাস্তির ঘোষণা করেছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। খবর আল জাজিরা।
শনিবার ( ২৮ নভেম্বর) ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও এ হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ইরানের তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার হবে ফখরিজাদেহকে হত্যাকারী এবং যারা এই নির্দেশ দিয়েছিল তাদের চূড়ান্ত সাজা দেওয়া। রুহানি আরও বলেন, মহসেন হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলই দায়ী। তবে এ ঘটনায় তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি থেমে যাবে না।
শুক্রবার তেহরান থেকে ৭০ কিলোমিটার পূর্বে আবসার্দ নামে একটি শহরে হামলার শিকার হন মহসেন ফখরিজাদেহ। এ সময় তার গাড়িতে প্রথমে বোমা হামলা, এরপর মেশিনগান দিয়ে গুলি করা হয়। এ ঘটনায় ইরান ইসরায়েলকে সরাসরি দোষারূপ করছে। যদিও ইসরায়েল এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তবে রুহানি বলেন, হঠকারী কোনও কিছু করা হবে না। প্রতিশোধ নেওয়ার সময়টা ইরান নিজেই বেছে নেবে। এতে কোনও সন্দেহ নেই যে, ইরানের মাটিতে আক্রমণ চালিয়ে এত গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তিকে হত্যা করে দেশটির শত্রুরা এক বিরাট এবং অপমানজনক আঘাত হেনেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাশেস সুলেইমানিকে হত্যা করা হয়। সেই সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, সুলেইমানির হাতে অনেক মার্কিনির রক্ত লেগে রয়েছে। এ কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। সেটি ছিল ইরাকের মাটিতে হামলা। এবার খোদ ইরানেই হামলা চালিয়ে বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হলো।
সান নিউজ/এসএ/এস