নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক নীপিড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত ওআইসির সদস্য দেশগুলোর প্রতি রাজনৈতিক ও মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
রোববার (২৯ নভেম্বর) সৌদি আরবের রাজধানীতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নাইজারের রাজধানী নিয়ামিতে ওআইসির দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এ আহ্বান জানান।
এছাড়া ফিলিস্তিনসহ মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন বিষয়ে আরও সুসংহত পদক্ষেপের ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ। নাইজারে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৭তম কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইসউফউ।
ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসুফ আল ওথাইমিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। এ সময় তিনি বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে কোনও ধর্মীয় প্রতীককে অপমান করা নয়। আমরা ইসলাম বিরোধী বক্তব্যের নিন্দা জানাই।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘শান্তি ও উন্নয়নের জন্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হওয়া’। মহাসচিব বলেন, সন্ত্রাসবাদ প্রত্যাখ্যাত হয়েছে এবং এর যে কোনও ন্যায্যতাও অগ্রহণযোগ্য। তিনি করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সদস্য দেশগুলোর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
মহাসচিব বলেন, সন্ত্রাসবাদ এ অঞ্চল ও বিশ্বব্যাপী এক অন্যতম বিপজ্জনক হুমকি। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় শান্তি ও উন্নয়নের জন্য মুসলিম দেশগুলোকে একতাবদ্ধ হতে হবে। সম্মেলনে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার জন্য গাম্বিয়াকে সহায়তাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন রাষ্ট্রদূত ও ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এছাড়া সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ওয়াহিদা আহমেদ ও রিয়াদ দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান এস এম আনিসুল হক।
সম্মেলনে বাংলাদেশ ২০২১-২৩ সালের জন্য ওআইসির ফিন্যান্স কন্ট্রোল অর্গানে ( এফসিও) সদস্য হিসেবে পুননির্বাচিত হয়েছে, যা ওআইসির সচিবালয়ের বাৎসরিক বাজেট অডিট করবে। দু’দিনব্যাপী সম্মেলন শনিবার ( ২৮ নভেম্বর) শেষ হয়েছে।
সান নিউজ/এসএ