ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশে দেশে মাঠে নামানো হচ্ছে সেনাবাহিনীকে। যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ভারতের মতো রাষ্ট্রগুলো এরই মধ্যে কাজে লাগানো শুরু করেছে সেনা বাহিনীকে।
নোভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের আগে স্পেনে জারি করা হয় জাতীয় জরুরি অবস্থা।
করোনাভাইরাসে ইউরোপে ইতালির পরে স্পেনে সবথেকে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেদেশে শুক্রবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩৩। এ ছাড়া মোট ৫,২৩২ জনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
আগামী সপ্তাহে স্পেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০,০০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সকলের সক্রিয় সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, নতুন করে সংক্রমণ ঠেকাতে সেনা নামানো হবে বলেও সানচেজ জানিয়েছেন। এরইমধ্যে মাদ্রিদে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে শনিবার থেকে সমস্ত রেস্টুরেন্ট, বার এবং দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। একমাত্র সুপারমার্কেট এবং ওষুধের দোকান খোলা থাকবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ছড়িয়ে পড়া একটি শহরে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। গভর্নর অ্যান্ড্রিই কোয়োমো নিউ ইয়র্ক সিটির উত্তরের নিউ রচেল শহরকে ‘আক্রান্ত এলাকা’ ঘোষণা করার পর সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়। সেনা সদস্যরা শহরের স্কুল পরিষ্কার ও যে কোনও আক্রান্ত ব্যক্তিকে খাবার সরবরাহ করবেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
সেনা মোতায়েনের বিষয়ে নিউ ইয়র্কের গভর্নর বলেন, এটি নাটকীয় পদক্ষেপ। কিন্তু দেশের সবচেয়ে বিস্তারের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে শহরটি। সত্যিকার অর্থেই তা জীবন-মরণ সংকট।
ভারতেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাঠে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকে। প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন মানুষকে রাখার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার দ্রুত তৈরি করতে দেশটির সেনা সদস্যদেরকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
করোনা মোকাবিলায় প্রত্যেক সেনা হাসপাতালকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালগুলি এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকাল রিসার্চ ল্যাবোরেটরির সঙ্গে সংযোগ বজায় রেখে চলতে বলা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।