আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী বেড়েই চলছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ। প্রতিদিনই বাড়ছে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের ও মৃত্যুর সংখ্যা। তবে ইতোমধ্যে এর প্রতিষেধক তৈরিতে অনেকেই সফলতা দেখিয়েছে। আবিষ্কারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে খুব শিগগির মিলবে এর প্রতিষেধক টিকা।
পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডো মিটারসের সর্বশেষ তথ্য বলছে, শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা নাগাদ সারাবিশ্বে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬ কোটি ১৩ লাখ ২ হাজার ৩৭ জন।
ওয়েবসাইটটির তথ্য অনুযায়ী, একই সময় বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছে ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৬৩৫ জন। এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৪ কোটি ২৩ লাখ ৯৩ হাজার ১২৩ জন। যদিও গত কয়েকদিনে আক্রান্তের চেয়ে সুস্থতার হার কম।
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৬ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৫ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৩ লাখ ৯ হাজার ৮৭১ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৫২ জন।
ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬২ লাখ ৪ হাজার ৫৭০ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৭ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। ফ্রান্স পঞ্চম। স্পেন ষষ্ঠ। যুক্তরাজ্য সপ্তম। ইতালি অষ্টম। আর্জেন্টিনা নবম। কলম্বিয়া দশম।
গত তিনদিন ধরে এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৫তম। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) বিকাল পর্যন্ত দেশে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৬ হাজার ৫২৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৫৩ জন, যা আক্রান্তের হারের তুলনায় অর্ধেক।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯ ’।
এরই মধ্যেই করোনার প্রতিষেধক তৈরিতে সফলতা দেখিয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এগুলোর মধ্যে কোভিড-১৯-এর টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমতির জন্য মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে আবেদন করেছে জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক এবং এর যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠান ফাইজার।
অন্য দিকে অক্সফোর্ডের করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরিতে ভালো সাড়া দিচ্ছে। আশা প্রকাশ করা হচ্ছে, করোনার এই ভ্যাকসিন থেকে রোগ প্রতিরোধে ভালো ফলাফল পাবেন তারা।
সান নিউজ/এম