আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি আঞ্চলিক দেশগুলোকে লক্ষ্য করে বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে কথিত শান্তি চুক্তি করে নিরাপত্তা আসবে না। তিনি ইসরাইলকে ‘ক্রিমিনাল’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “তারাই হচ্ছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তাহীনতা এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির মূল হোতা।”
ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে কয়েকটি আরব রাষ্ট্র রাষ্ট্রের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘটনায় ইরানি প্রেসিডেন্ট দুঃখ প্রকাশ করেন।
গতকাল বুধবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলে সানির সঙ্গে টেলিফোন আলাপে এসব কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি বলেন, বাইরের শক্তি আঞ্চলিক দেশগুলোতে যে হস্তক্ষেপ করছে এবং তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে এবং জ্ঞান-বুদ্ধি, বিচক্ষণতা, যুক্তি এবং আন্তরিক সংলাপের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
প্রেসিডেন্ট রুহানি সুস্পষ্ট করে বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইহুদিবাদী ইসরাইলকে আঞ্চলিক ঘটনাবলীতে যুক্ত করার কারণে নিরাপত্তাহীনতা এবং অস্থিতিশীলতা বাড়বে। তিনি আরো বলেন, সত্যিই খুব আশ্চর্যজনক যে, কোনো কোনো প্রতিবেশী দেশ মনে করছে ক্রিমিনাল ইহুদিবাদী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করলে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে অথচ ইসরাইল হচ্ছে পুরো অঞ্চল এবং মুসলিম দেশগুলোর শত্রু। তিনি বলেন, আঞ্চলিক দেশগুলোকে তাদের নিজেদের সমস্যা নিজেদেরকেই সমাধান করতে হবে এবং আমি নিশ্চিত আগামী মাসগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে আঞ্চলিক পরিস্থিতি অনেক ভালো হবে।
প্রেসিডেন্ট রুহানি আশা প্রকাশ করেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন ঘটনাবলী ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের জন্য কোনো কোনো দেশের শত্রুতাপূর্ণ নীতির পরিবর্তন আসবে এবং জোরালো আঞ্চলিক সংলাপ ও সমঝোতায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে একটা সুযোগ সৃষ্টি হবে। গতকালের ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট রুহানি ইরানের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক এবং ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বের প্রশংসা করে বলেন, ইরান আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক চায়।
ফোনালাপে কাতারের আমির ইরানি প্রেসিডেন্টকে দোহা সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং জবাবে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন এ সফর একটি উপযুক্ত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। ফোনালাপে কাতারের আমির তেহরান ও দোহার মধ্যকার বর্তমান সম্পর্ককে কৌশলগত বলে মন্তব্য করেন এবং এই সম্পর্ক দু দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইরানের সঙ্গে এরইমধ্যে কাতারের যে সমস্ত চুক্তি হয়েছে তা বাস্তবায়নে দোহা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে বলেও জানান শেখ তামিম বিন হামাদ আলে সানি। তিনি বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যেকোনো চুক্তিতে ইরানকে অবশ্যই একটি পক্ষ হিসেবে রাখতে হবে। তিনি আশা করেন, চলমান আন্তর্জাতিক ঘটনাবলীর পেক্ষাপটে ইরান ও পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে আলোচনা শুরু হবে।সূত্র-পার্সটুডে
সান নিউজ/পিডিকে/এস