আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইংল্যান্ডে ভ্রমণকারীদের জন্য কোয়ারেন্টাইনের সময় কমছে। বিদেশফেরত ব্যক্তিদের আগে ১৪ দিন সেলফ-আইসোলেশনে থাকতে হলেও নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন থাকতে হবে মাত্র পাঁচদিন। দেশটি আগামী ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে এ ব্যবস্থা। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সরকারের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে ইংল্যান্ডে পৌঁছানো ভ্রমণকারীদের পাঁচদিন সেলফ-আইসোলেশনে থাকতে হবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় করোনা টেস্ট করাতে হবে। যাদের পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল আসবে, তারা আইসোলেশন থেকে বের হতে পারবেন। তবে, সেসময় অবশ্যই অভ্যন্তরীণ কোভিড-১৯ বিষয়ক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্লেন, ফেরি বা ট্রেন- ভ্রমণকারী যে পথেই আসুক না কেন তাকে করোনা টেস্টের খরচ নিজেকেই বহন করতে হবে। তবে পাঁচদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার এই নিয়ম পুরো যুক্তরাজ্যে চালু হবে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়।
ব্রিটেনের পরিবহনমন্ত্রী গ্রান্ট শাপস বলেন, মানুষদের পাঁচ দিনের [কোয়ারেন্টাইন] সুযোগ দিয়ে আমরা ভ্রমণ শিল্পকে সাহায্য করছি। মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে এ শিল্প ধীরে ধীরে পুনর্গঠিত হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের নতুন পরীক্ষা পরিকল্পনা ভ্রমণকারীদের আরও স্বাধীনভাবে চলাচল, প্রিয়জনের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসা পরিচালনায় সাহায্য করবে।
গত ৮ জুন থেকে যুক্তরাজ্যে দুই-সপ্তাহের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন পদ্ধতি কার্যকর হয়। তখন থেকে ভ্রমণখাত সংশ্লিষ্ট অনেকে এর কঠোর সমালোচনা করছেন। তাদের মতে, এই বিধিনিষেধ দেশটির অভ্যন্তরীণ পর্যটন খাত তো বটেই, যারা বিদেশে অবকাশযাপনে যেতে চান, তাদের জন্যেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
যুক্তরাজ্যের ‘ট্রাভেল করিডোর’ বা ট্রাভেল বাবল সুবিধাপ্রাপ্ত দেশগুলোর যাত্রীদের জন্য এই নিয়ম আগে থেকেই কিছুটা শিথিল ছিল। তবে এই তালিকা সাধারণত প্রতি সপ্তাহেই সংশোধন হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জারি করা লকডাউনের কারণে ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য বর্তমানে বিদেশভ্রমণ একপ্রকার নিষিদ্ধ রয়েছে। তবে আগামী ২ ডিসেম্বর এ নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হবে।সূত্র: সিএনএন
সান নিউজ/পিডিকে/এস