আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা যখন আর দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে শেষ হতে যাচ্ছে তখনও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানবিরোধী বক্তব্য দেয়া অব্যাহত রেখেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে তেহরানের তেল বিক্রির উপার্জন মারাত্মকভাবে কমে গেছে।
তিনি সোমবার (২৩ নাভেম্বর) ওয়াশিংটনে এক বক্তব্যে দাবি করেন, ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির তেল রপ্তানি খাত থেকে সাত হাজার কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন কম হয়েছে।
পম্পেও আরো দাবি করেন, নয়া মধ্যপ্রাচ্য গঠনের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতির অংশ হিসেবে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ইরানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার লক্ষ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো দাবি করেন, ২০১৫ সালে পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষরের পর ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইরান পরমাণু সমঝোতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে তা দিয়ে নিজের প্রতিরক্ষা ব্যয় শতকরা ৩০ ভাগ বাড়িয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন সরকার ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগ করে।
সান নিউজ/এসএম