আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে তালেবানদের আলোচনা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে কাবুলের সুরক্ষিত এলাকা গ্রিনজোনসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ভয়াবহ হামলায় ৮ জন নিহত ও আহত হয়েছেন ৩১ জন। তবে হামলার দায় এখনও কেউ শিকার করেনি। আইএস এ হামলার দায়িত্ব অস্বীকার করেছে।
শনিবার ( ২১ নভেম্বর ) সকালে একসঙ্গে অন্তত ২৮টি কাতিউশা রকেট আঘাত হেনেছে । দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মো. তারিক আরিয়ান গণমাধ্যমকে এ খবর জানিয়েছেন। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের। ভয়াবহ এ রকেট হামলার ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে কাবুলের কেন্দ্রস্থল ও পূর্বাঞ্চলে। এর পাশেই গ্রিনজোন হিসেবে পরিচিত অভিজাত ও কূটনৈতিক এলাকা অবস্থিত। শনিবার সকালে চালানো সে হামলায় অনেক বাড়ি-ঘর ও গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দুটি গাড়ি থেকে আবাসিক এলাকা লক্ষ করে হামলা চালানো হয়। এমন একটি সময় বড় ধরনের এ হামলার ঘটনা ঘটল যখন তালেবান-মার্কিন সরকার আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর আলোচনা শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে হামলাটি চালানো হয়।
এ ছাড়া তালেবান, আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র– সব পক্ষের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এখন। কয়েক মাস ধরে ত্রিপক্ষীয় শান্তি আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন। হামলা বেড়ে গেলে আফগান সামরিক বাহিনীর সেগুলো এককভাবে মোকাবেলা করার সামর্থ্য নেই বলেও মনে করেন তারা।
মার্কিন সেনা কমে গেলে নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও আফগানিস্তানে বিদেশি স্বার্থেও আঘাত হানতে পারে জঙ্গিগ্রুপগুলো। টার্গেট করতে পারে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস। যেমন- শনিবার রকেট হামলাতেই ইরানের দূতাবাস কম্পাউন্ডে রকেটের টুকরো গিয়ে আঘাত করেছে। তবে তাতে প্রতিবেশী দেশটির দূতাবাসের তেমন কোনো ক্ষতি ও কেউ হতাহত হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
শান্তি আলোচনায় নিজেদের প্রভাব বিস্তার ও শক্তি প্রদর্শনের জন্য তালেবান এই রকেট হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তালেবান বিবৃতি দিয়ে বলেছে, তারা কখনও জনসমাগমের মধ্যে হামলা করে না।
সান নিউজ/এসএ