আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সম্প্রতি সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। করোনাভাইরাস এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ১০০ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে। ১ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এ ভাইরাসে। আর মারা গেছেন ৪ হাজারের বেশি। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রতিরোধের উপকরণ মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ অন্যান্য পণ্যের চাহিদা।
তবে মাস্কের চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে। আর এই সুযোগটাই ব্যবহার করছেন ব্যবসায়ীরা। এনিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফা লোভে ইচ্ছে মত দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। জাপান সরকার এরইমধ্যে এই অসাধু ব্যবসায়ীদের শায়েস্তা করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে।
নিয়ম করা হয়েছে দেশটিতে বেশি লাভের আশায় মুখে ব্যবহারের মাস্ক কেউ কিনে তা পরে বিক্রি করলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এজন্য দায়ী ব্যক্তিকে এক বছর কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ ইয়েন (৯ হাজার ৫৬০ ডলার) জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড প্রদান করা হবে।
দিন দিন দেশটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। আর তাই ব্যাপক চাহিদার ফলে অসাধু ব্যবসায়ীদের অনৈতিক মুনাফা লাভ নিয়ন্ত্রন করতে জাপান এ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের স্বাস্থ্য বিভাগ। আগামী ১৫ মার্চ থেকে জাপানে এই বিধান কার্যকর হবে।
এদিকে বাংলাদেশেও এরই মধ্যে করোনার প্রভাব দেখা দেয়। দেশে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর আগেই দিয়েছে আইইডিসিআর। ২০ টাকার মাস্ক বিক্রি করা হচ্ছে ১০০ টাকা পর্যন্ত। এরইমধ্যে অসাধু বাবসায়ীদের রুখতে মাঠে নেমেছেন মোবাইল কোর্ট ।
তা ছাড়া এ বিষয়ে সোচ্চার সরকারি প্রতিষ্ঠান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভোক্তাদের সচেতনতায় একটি বিবৃতিও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মাস্ক বা স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যে কোনো পণ্যের গায়ের দামের বেশি চাইলে রশিদ সংরক্ষণ করে প্রতিষ্ঠানটির হট লাইনে অবহিত করতে বলা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হট লাইন নম্বর ০১৯৭৭ ০০৮০৭১।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মাধ্যমে অভিযোগ নিষ্পত্তিতে বিনা খরচে সব ধরনের সহায়তা করবে প্রতিষ্ঠানটি।
সান নিউজ/সালি