ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনা ভাইরাস এখন বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর সেটি চীনসহ বিশ্ববাসীর কাছে প্রমান করতেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া দেশটির প্রথম শহর উহান সফর করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এর মধ্য দিয়ে চীন ঘোষণা করল যেন তারা এখন করোনা আতঙ্কমুক্ত।সাথে সাথে তারা এও জানিয়েছে যে, ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর মঙ্গলবার সবচেয়ে কম মানুষ (১৯ জন) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। বিদেশ ফেরত দুজন বাদে নতুন আক্রান্তদের সবাই উহানের নাগরিক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
চীনের উহান থেকেই করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৫৪ জন ও মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ১৩৬।
ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার এটিই ছিল শহরটিতে চীনা প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর। দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম বলছে, মঙ্গলবার মহামারী মোকাবিলা ও নিয়ন্ত্রণ করার কাজ পরিদর্শনে আসেন তিনি। হুবেই প্রদেশের উহান শহরটি লক ডাউন করে রাখা হয়েছিল ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে। শি জিনপিং কোয়ারেন্টাইনে থাকা শহরটির একটি সম্প্রদায়ের এলাকা সফর করেন।
এসময় চীনা প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন হুবেই প্রদেশ ও উহানে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া মূলগতভাবে দমন করা গেছে। হুবেই ও উহানে আক্রান্ত হওয়ার ঊর্ধ্বগতি থামিয়ে এবং পরিস্থিতি স্থিতিশীল করে প্রাথমিক সফলতা এসেছে।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, জিনপিংয়ের সফর পুরো দেশ ও বিশ্বের জন্য বার্তা যে চীন ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার কঠিন মুহূর্ত থেকে বের হয়ে আসছে।
ভাইরাস মোকাবিলায় দশদিনের ভেতরে নির্মিত অস্থায়ী হউশেনশান হাসপাতালও পরিদর্শন করেন চীনা প্রেসিডেন্ট। সেখানে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে কর্মী ও রোগীদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। তার সফরের পর অস্থায়ীভাবে নির্মিত ১৪টি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, দ্রুত নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসাতে ধীরে ধীরে চীনের জীবন-যাপন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। কিঙ্গাই প্রদেশে ১৪৪ টি সিনিয়র স্কুল ও সেকেন্ডারি ভোকেশনাল স্কুল সোমবার খুলে দেওয়া হয়েছে। চীনা সংবাদমাধ্যমে উহানের তিয়ানহি বিমানবন্দর চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনও তারিখ জানানো হয়নি।
ডিজনিল্যান্ড সাংহাই জানিয়েছে, আংশিকভাবে পুনরায় চালু করা হয়েছে। যদিও মূল থিম পার্ক এখনও বন্ধ। তবে দোকান ও রেস্তোরাঁ পুনরায় চালু হয়েছে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃতের সংখ্যা ইতালিতে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩১ জনে। একদিনে দেশটিতে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ১৬৮ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৪৯ জনে।