আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট সিনেটর ক্রিস মরফি বলেছেন, ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও যে ১২টি শর্ত আরোপ করেছিলেন তার একটিও পূরণ হয়নি।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরান নীতি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে মরফি এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে দেশটির সঙ্গে আলোচনায় বসতে ১২টি শর্ত আরোপ করেছিলেন। অথচ ইরান ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতেই রাজি হয়নি এবং এর ফলে পম্পেওর ১২টি শর্তই অধরা রয়ে গেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে একতরফাভাবে বের করে নেয়ার পর তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। এ অবস্থায় ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনই ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করে এবং এজন্য মাইক পম্পেও তেহরানকে ১২টি শর্ত বেধে দেন।
এসব শর্তের মধ্যে ছিল, ইরানকে তার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রামীদের প্রতি তেহরানকে সমর্থন বন্ধ করতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসন আশা করেছিল, ইরান সরকার দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের স্বার্থে এসব শর্ত মেনে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হবে।
কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তেহরান স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, চাপের মুখে দেশটি আলোচনায় বসবে না; বরং মার্কিন সরকারকে আগে পরমাণু সমঝোতায় ফিরতে হবে এবং তার না ফেরা পর্যন্ত কোনো আলোচনা হবে না।
সান নিউজ/এসএম/এস