আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়া দুই ভাইকে ২০১৫ সাল থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি দম্পতি শহিদুল গাফফার ও নাবিলা খান।
এ অভিযোগে তাদের দোষী সাব্যস্ত করে গত ১৮ নভেম্বর এক বিবৃতিতে মার্কিন এ্যটর্নি উইলিয়াম এম. ম্যাকসুইন ও জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের ডেপুটি এ্যটর্নি জেনারেল জন সি ডমারস। যা সেদিনই পেনসিলভানিয়া এ্যটর্নি অফিসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
পেনসিলভানিয়ার আদালতে প্রকাশিত তথ্যে জানানো হয়েছে, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে এই বাংলাদেশি দম্পতি আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া যাওয়ার বিষয়ে নাবিলার দুই ভাইয়ের সঙ্গে তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে নাবিলা খান বাংলাদেশে বসবাসরত তার বোনের কাছে কিছু স্বর্ণ বিক্রি করতে পারবে কিনা জিজ্ঞেস করেন। যে অর্থ দেওয়া হবে জে কে নামে তাদের বড় ভাইকে, যেন তিনি সিরিয়া যেতে পারেন।
এর পরের মাসেই জে কে নামের ব্যক্তিদের বিদায় দিতে নাবিলা বাংলাদেশে আসারও ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ সময় নাবিলার স্বামী গাফফার পেনসিলভানিয়াতেই ছিলেন। সেখান থেকে তিনি নাবিলার মাকে বার্তাও পাঠান। বার্তায় তিনি শাশুড়িকে বলেন, এক মহৎ উদ্দেশ্য আর আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আপনি গর্বিত মা হোন। এ ছাড়া আই কে নামে নাবিলার ছোট ভাই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যায়।
২০১৪ সালের জুন থেকে পরের বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আই কে বোন-দুলাভাইয়ের বাসাতেই থাকত। পরে সে বাংলাদেশে ফিরে যায়। এর মধ্যেই গাফফার ইন্টারন্যাশনাল মানি ট্রান্সফার সুবিধা নিয়ে আই কে-এর কাছে বাংলাদেশে অর্থ পাঠাতে শুরু করে যাতে সে আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া যেতে পারে। ২০১৫ সালের জুন নাগাদ আই কে আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া যায়।
এ্যটর্নি উইলিয়াম এম. ম্যাকসুইন বলেছেন, জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসে যোগ দিতে ভাইদের উৎসাহ ও সমর্থন দিয়েছে এই দম্পতি। তাদের এ কর্মকান্ড যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি। আইএসে যুক্ত হওয়ার পরও ২০১৫ সাল থেকে তারা ভাইদের অর্থ ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। ফক্স নিউজ জানায়, এ অভিযোগের বিচারে ৪০ বছর বয়সী গাফফার খান ও ৩৫ বছর বয়সী নাবিলা খানের পাঁচ বছরের কারাদন্ড ও আড়াই লাখ ডলার জরিমানা হতে পারে। শুধু তাই নয়, মুক্তি পাওয়ার পর আরও তিন বছর থাকতে হতে পারে নজরদারিতে।
ফিলাডেলফিয়ায় এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট ইনচার্জ মাইকেল জে. ড্রিসকোল বলেন, এ ঘটনাই বলে দেয়, প্রাণহানি এবং বড় ক্ষতি করার জন্য উগ্রপন্থিদের শুধু অস্ত্র হাতে নিতে হয় না, এভাবেও তারা ক্ষতিকর কাজ করতে পারে। খবর : ফক্স নিউজ।
সান নিউজ/এসএ