আন্তর্জাতিক ডেস্ক : থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে পুলিশ এবং রাজতন্ত্র সমর্থকদের সঙ্গে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে অন্তত ৪১ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ছয় জন। খবর ব্যাংকক পোস্ট।
এদিকে, বুধবার (১৮ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো থাই সংবিধানের সম্ভাব্য সংশোধনী নিয়ে দেশটির আইন প্রণেতাদের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে জানানো হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দেওয়া কাঁটাতারের বেড়া এবং কংক্রিটের বেষ্টনি অতিক্রম করে পার্লামেন্ট চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের দিকে জলকামান এবং টিয়ারগ্যাস ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ওই পুলিশি হামলার পর থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আহত বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন। ব্যাংককের চিকিৎসা সেবাদানকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যাংকক পোস্ট জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে অন্তত ছয়জন গুলিবিদ্ধ এবং ১২ জন টিয়ার শেলে আহত হয়েছেন। আহতদের কেউ কেউ এখনও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তবে, ব্যাংকক পুলিশের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানো কিংবা রাবার বুলেট ছোড়ার কথা অস্বীকার করেছে। আগ্নেয়াস্ত্র কে বা কারা ব্যবহার করেছে তা জানতে তদন্ত চলছে - বলে জানিয়েছেন পুলিশের মুখপাত্র।
এর আগে, থাইল্যান্ডে চলতি বছরের জুলাই হেকে তরুণদের নেতৃত্বে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভ শুরু হয়। এই আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে মঙ্গলবারের বিক্ষোভে সংবিধান পরিবর্তনের জন্য আইনপ্রণেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জমা হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলন পর্যবেক্ষকরা।
বিক্ষোভ থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচার পদত্যাগ, রাজা মহা বাজিরালংকর্ণ'র ক্ষমতা পুনঃনির্ধারণ, সংবিধান সংশোধনের মতো ১০ দফা দাবি তোলা হয়েছে।
অন্যদিকে, এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংককের উপপ্রধান পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তারা সংঘর্ষ এড়ানোর চেষ্টা করছেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদেরকে পার্লামেন্টের কাছ থেকে সরিয়ে দিতে এবং রাজপরিবারের সমর্থকদের পাল্টা বিক্ষোভ থেকে দূরে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
সান নিউজ/এসএম