আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাক এবং আফগানিস্তান এই দুই দেশ থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে আড়াই হাজার মার্কিন সৈন্যকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। এর মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে এক ঘোষণায় জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস মিলার বলেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আফগানিস্তান থেকে দুই হাজার এবং ইরাক থেকে ৫০০ মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
এর মধ্য দিয়ে, যুদ্ধের সফল পরিসমাপ্তির পর বীর যোদ্ধাদের ঘরে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে বলে জানিয়েছেন ক্রিস মিলার।
এদিকে, পেন্টাগনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইরাকে অবস্থানরত তিন হাজার মার্কিন সৈন্যের মধ্যে ৫০০ জনকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। পাশাপাশি, আফগানিস্তানের সাড়ে চার হাজার থেকে সৈন্য ফেরত আসবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আফগানিস্তান থেকে তাড়াহুড়ো করে সেনা প্রত্যাহার করলে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট-ন্যাটোকে চরম খেসারত দিতে হতে পারে জানিয়ে সতর্ক করেছেন ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ।
স্টোলটেনবার্গ বলেন, আফগানিস্তান এখনও বেশ বিপজ্জনক জায়গা। সেখানকার সন্ত্রাসীরা এখনও আমাদের জন্য হুমকির কারণ। এই মুহুর্তে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর থেকে আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট বিদ্রোহী তালেবান জঙ্গিদের উৎখাত করার পর থেকেই ২০ বছর যাবৎ মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে রয়েছে।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বেশ কয়েক বছর ধরেই মার্কিন সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনার পক্ষে তার ইচ্ছার কথা জানিয়ে আসছিলেন। দেশে দেশে সামরিক হস্তক্ষেপ খুবই ব্যয়বহুল এবং অচু পদ্ধতি বলে সমালোচনা করেছেন তিনি। এরই অংশ হিসেবে, চলতি বছরের শুরুর দিকে তালেবানের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : রয়টার্স।
সান নিউজ/এসএম