আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাকের রাজধানী বাগদাদে চার দফা রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ইরাকি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের দূতাবাস অবস্থিত।
মঙ্গলবার ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যেই অত্যন্ত সুরক্ষিত ওই এলাকায় কয়েক দফা রকেট হামলা চালানো হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে যে, ইরাকে নিযুক্ত ৩ হাজার সেনা থেকে কমিয়ে ২ হাজার ৫শ সেনা রাখা হবে। বাকি সেনাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
ইরাকি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির সরকারি ভবন এবং কূটনৈতিক এলাকা হিসেবে পরিচিত গ্রিন জোনে নিউ বাগদাদদের আল-আলফ দার জেলা থেকে রকেট হামলা চালানো হয়েছে।
তবে ওই বিবৃতিতে হতাহতের খবর নিশ্চিত করা হয়নি। নাম প্রকাশ না করা শর্তে ইরাকি কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, ওই হামলায় কমপক্ষে দু'জন ইরাকি নিরাপত্তা কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
এর আগেও বাগদাদের গ্রিন জোনে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। গত জুনে সেখানে ১০ দিনের মধ্যে পাঁচবার রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এসব হামলার জন্য ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে থাকা ইরানপন্থী বিভিন্ন বাহিনীকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। গত জানুয়ারিতে ইরানের শীর্ষস্থানীয় সেনা কমান্ডার কাশেম সোলেইমানি বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে রকেট হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে।
এদিকে, ইরাক থেকে মার্কিন জোটের সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার শর্তে গত অক্টোবরে সাময়িক সময়ের জন্য ইরানভিত্তিক বিভিন্ন মিলিশিয়া গোষ্ঠী ইরাকে হামলা না চালানোর ঘোষণা দিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে সেই শর্ত ভেঙে আবারও হামলা চালানো হয়েছে।
গত বছর থেকেই ইরাকের বিভিন্ন স্থানে বিদেশি সেনা, দূতাবাস, কূটনৈতিক এবং অন্যান্য স্থাপণা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর নিশ্চিত করেছে যে, তারা ইরাক এবং আফগানিস্তান থেকে ২ হাজার ৫শ'র বেশি সেনা সরিয়ে নেবে। অনেক আগে থেকেই নিজের দেশের সেনাদের ফিরিয়ে আনার কথা বলে আসছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অন্য দেশে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের বিষয়ে বরাবরই সমালোচনা করে আসছেন তিনি।
তবে রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাক কনেল সব সময় ট্রাম্পকে সমর্থন করে আসলেও সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনাকে তিনি সমর্থন করছেন না। তার মতে এটা একটি ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত।
সান নিউজ/এসএম