আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তান এবং ইরাক থেকে আরও সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আফগানিস্তানে বর্তমানে ৫ হাজার সৈন্য রয়েছে। আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝিতে এই সংখ্যা কমিয়ে ২ হাজার ৫শ করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। অপরদিকে, ইরাকে বর্তমানে সেনা রয়েছে ৩ হাজার। এ থেকে সেনা কমিয়ে ২ হাজার ৫শ’তে নামিয়ে আনা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন যে, তিনি চান ক্রিসমাসের আগেই সেনারা সবাই দেশে ফিরে আসুন। তবে নির্বাচনের পর ট্রাম্প প্রশাসনে কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ব্যবধানে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেনের কাছে হেরে গেছেন ট্রাম্প।
নির্বাচনে ৩০৬টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন জো বাইডেন। অপরদিকে ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি ভোট। মার্কিন গণমাধ্যমগুলোতে এর মধ্যেই বাইডেনকে জয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু নিজের পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ট্রাম্প। এমনকি ক্ষমতা হস্তান্তরেও তার প্রশাসনের কোনো তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। কারণ ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন।
এর আগেও বিভিন্ন দেশে সেনা মোতায়েনের সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বিভিন্ন দেশে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপকে খুবই ব্যয়বহুল এবং অকার্যকর বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে আরও সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা ইতোমধ্যে সামরিক বাহিনীর নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশ জারি করা হলেও সেনা কমান্ডারদের কাছে তা এখনও পাঠানো হয়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে পেন্টাগন এক ঘোষণায় ইরাক থেকে এক তৃতীয়াংশের বেশি সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানায়। দেশটিতে সেনার সংখ্যা ৫ হাজার ২শ থেকে কমিয়ে ৩ হাজার করার কথা জানানো হয়।
সে সময় মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ ইস্ট কমান্ডার জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানান যে, ইরাকে যেসব সেনা থেকে যাবেন তারা জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) নির্মূলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবেন। ২০০১ সাল থেকেই আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়েছে মার্কিন সেনারা।
সান নিউজ/এসএম