আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইথিওপিয়ায় সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী যোদ্ধাদের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে এবং দিন দিন এর মাত্রা ও পরিধি বেড়েই চলেছে। তিগ্রাই পার্বত্য অঞ্চলে মুহুর্মুহু বিমান হামলা চালাচ্ছে ইথিওপীয় বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে বিদ্রোহীরা। রোববারও হামলা-পাল্টা হামলা হয়েছে।
এতে ১২ দিন ধরে বিদ্রোহী বাহিনীগুলোর সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই আরও বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে যুদ্ধে হর্ন অব আফ্রিকার এ অঞ্চলে ইতোমধ্যে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।
সরকারি ও বিদ্রোহী বাহিনীর হামলা-পাল্টা হামলার মুখে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। খবর আলজাজিরা ও রয়টার্স। চলতি মাসের ৪ নভেম্বর ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ তিগ্রাইয়ের বিদ্রোহী নেতা ও যোদ্ধদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেন দেশটির নোবেলজয়ী প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। অভিযানে ইথিওপীয় বাহিনীর সঙ্গে ইরিত্রিয়ার সেনাবাহিনীও রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ইরিত্রিয়ার কর্তৃপক্ষ। দুই বছর আগে একটি শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল ইরিত্রিয়া এবং ইথিওপিয়া। কিন্তু ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত যুদ্ধে তাদের বিধ্বংসী ভূমিকার পরে তিগ্রাইয়ের নেতাদের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক মনোভব অব্যাহত রাখে আসমারায় প্রেসিডেন্ট ইসাইস আফওয়েরকির সরকার।
স্থানীয় বাহিনীগুলো সুদান ও ইরিত্রিয়ার সীমান্তে মোতায়েন কেন্দ্রীয় সেনাদের আক্রমণ করেছে, এমন অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনার জন্য প্রায় দুই সপ্তাহ আগে তিগ্রাইতে জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী পাঠান ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।
তারপর থেকে তিগ্রাইতে শুরু হওয়া লড়াইয়ে কয়েকশ লোক নিহত হয়েছে। এ লড়াই আফ্রিকা মহাদেশের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ইথিওপিয়ার অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে আফ্রিকার শিং হিসেবে পরিচিত পূর্ব আফ্রিকার এ অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে ওই অঞ্চলের ১৪ হাজার ৫০০ বাসিন্দা পালিয়ে প্রতিবেশী সুদানে আশ্রয় নিয়েছে।খবর আলজাজিরা ও রয়টার্স।
সান নিউজ/এসএ