মার্কিন আইনপ্রণেতাদের অবগত না করেই ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান এলিওট এনজেল এক বিবৃতিতে বলেন, কংগ্রেসকে অবগতকরণ কিংবা কোনো আলোচনা ছাড়াই সোলাইমানির বিরুদ্ধে হামলা চালানো হয়েছে।
এই ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা বলেন, ব্যাপক সহিংসতার মূলহোতা সোলাইমানি। তার হাতে আমেরিকানদের রক্ত আছে।
কিন্তু কংগ্রেসকে না জানিয়েই এমনতর গুরুতর পদক্ষেপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মধ্যে মারাত্মক আইনগত সমস্যা রয়েছে। এছাড়া সরকারের একটি সমমর্যাদার শাখা হিসেবে কংগ্রেসকে অবমাননার শামিল বলে মন্তব্য করেন এনজেল।
দুই দেশের মধ্যে নাটকীয়ভাবে উত্তেজনা বাড়ার মধ্যেই মার্কিন ও ইরানি সূত্র এই খবর নিশ্চিত করেছেন বলে এএফপির খবরে জানা গেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে।
ইরানের বিপ্লবী গার্ডসও জেনারেল কাসেমের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে। তারা বলেছে, মার্কিন হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরানপন্থি বিক্ষোভকারীরা চলতি সপ্তাহে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও করার পর তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোলাইমানির মৃত্যুর পর মার্কিন পতাকার একটি চিত্র টুইটারে পোস্ট করেন ট্রাম্প। তবে বিস্তারিত কিছু বলেননি।